দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ মাশরুম খেতে ভারি মজা। স্টার্টার থেকে রাতের খাবার পর্যন্ত সবেতেই এতদিন মাশরুম ছিল অনন্য। এবার মাশরুম থেকে বেরিয়ে আসবে দামি সোনাও। এমনটাই দাবি করে বসেছেন বিজ্ঞানীরা। গোয়ার গবেষকরা বলেছেন যে তাঁরা বন্য মাশরুম থেকে সোনার ন্যানো কণা তৈরি করেছেন। গোয়াতে এই মাশরুম খুব উৎসাহের সঙ্গে খাওয়া হয়। এই মাশরুম টার্মিটোমাইসিস প্রজাতির অন্তর্গত, যা উইপোকার ঢিবিতে জন্মায়। স্থানীয় লোকজন এটিকে নিজেদের ভাষায় 'রন ওলমি' বলেন। এই বুনো মাশরুম গোয়ার মানুষের মধ্যে বেশ বিখ্যাত। বর্ষাকালে মানুষ এটি বেশি খায়।
জার্নাল অফ জিওমাইক্রোবায়োলজিতে প্রকাশিত গবেষণা
বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি মাশরুমের দানাদার ফর্ম ব্যবহার করে সোনার ন্যানো পার্টিকেল তৈরি করেছেন। সম্প্রতি এই গবেষণা করা হয়েছে। এই গবেষণাটি টেলর এবং ফ্রান্সিস দ্বারা প্রকাশিত জিওমাইক্রোবায়োলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল। এই আবিষ্কারের সাহায্যে গোয়ার প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবহার করে নতুন প্রযুক্তি তৈরি করা যাবে। এতে গোয়ার অর্থনীতির উন্নতি হতে পারে। এই গবেষণাটি ডাঃ সুজাতা ডাবলকার এবং ডঃ নন্দকুমার কামাতের তত্ত্বাবধানে করা হয়েছে। উভয় বিজ্ঞানীই নিজেদের গবেষণা গোয়ার পরিবেশমন্ত্রী অ্যালেক্সো সিকুইরার কাছে উপস্থাপন করেছেন।
গোয়া সরকারের সঙ্গে রোডম্যাপ শেয়ার করা হয়েছে
শুধু তাই নয়, গোয়া সরকারের সঙ্গে একটি রোডম্যাপও শেয়ার করেছেন বিজ্ঞানীরা। যেখানে বলা হয়েছে এই আবিষ্কার থেকে অর্থনৈতিক সুবিধা পেতে পারে গোয়া। এতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যাপক লাভবান হবেন বলে তিনিও দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, কোনও ওষুধ রোগীর শরীরে পৌঁছে দিতে হলে ন্যানো পার্টিকেলে রেখে তা পৌঁছে দেওয়া যায়। এর ব্যবহার টার্গেটেড ড্রাগ ডেলিভারি, মেডিকেল ইমেজিং এবং ইলেকট্রনিক্স ম্যানুফ্যাকচারিংয়ে বিপ্লব ঘটাবে।
উদ্ভাবনের পিছনে বিজ্ঞান কী?
বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে টারমিটোমাইসিস মাশরুম চাষ করা, তাদের বিশুদ্ধ ত্রি-মাত্রিক পেলেটে রূপান্তর করলেই ন্যানো পার্টিকেল নিষ্কাশন করা সহজ হয়ে যাবে। এই বিশেষ চাষের পদ্ধতিটি পরিবেশ-বান্ধব, যা ন্যানো পার্টিকেল উৎপাদনে অনেক সহায়কও বলে দাবি করছেন বিজ্ঞানী ডঃ নন্দকুমার কামাত।
৩ বছর ধরে অধ্যয়ন করা হয়েছে
বিজ্ঞানী ডঃ নন্দকুমার কামাত গত তিন বছর ধরে এই মাশরুমের প্রজাতি নিয়ে গবেষণা করছেন। তিনি বলেছেন যে টার্মিটোমাইসিস গোয়ার মাশরুমের বৃহত্তম প্রজাতি। আসলে, সোনার ন্যানো পার্টিকেলের দাম বেশ বেশি। ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পর্যন্ত, এক মিলিগ্রাম সোনার ন্যানো পার্টিকেলের দাম ছিল প্রায় ৪০ মার্কিন ডলার।