দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের মরশুমে গুড় বেশ লোভনীয় খাবার।শীতের সূচনায় নতুন গুড়ের আগমন প্রায় সব ঘরে ঘরে। আখ কিংবা খেজুরের রস থেকে তৈরি করা এক প্রকারের মিষ্টদ্রব্য হল গুড়। তালের রস থেকেও গুড় তৈরি করা হয়। আখ, খেজুর এবং তাল গাছের রস ঘন করে গুড় তৈরি করা হয়। গুড় প্রধানত ৩ প্রকার; ঝোলাগুড়, পাটালিগুড়, চিটাগুড়। এই গুড় দিয়েই তৈরি হয় হরেক রকমের মিষ্টি।
শীতের সূচনায় নতুন গুড়ের আগমন প্রায় সব ঘরে ঘরে। কিন্তু সুগারের ভয়ে অনেকেই ইচ্ছা হলেও গুড় খেতে পারেন না। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন শীতকালে সবারই গুড় খাওয়া উচিত। কিন্তু কেন শীতকালে গুড় খাওয়া উচিত,জেনে নিন!
১। গুড়কে সুপার ফুড বলে মনে করা হয়। এই গুড়ে আছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং প্রয়োজনীয় খনিজ আয়রন,জিঙ্ক,সেলেনিয়াম। এই সব উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
২) পাচক এনজাইমগুলিকে উদ্দীপিত করার ক্ষমতার জন্য পরিচিত গুড়,খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শীতকালে অনেক আজেবাজে খাবার খাওয়া হয়, সেই সব ভারী খাবার হজম করতে গুড়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বিরুদ্ধে লড়াই করে অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও বেশ গুরত্বপূর্ণ।
৩। গুড় শরীরকে গরম রাখতেও সাহায্য করে। রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে এবং শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রেখে শরীরকে খুব ঠান্ডা হওয়া থেকে রক্ষা করে।
৪) দুধের মধ্যে সামান্য পরিমাণে গুড় মিশিয়ে খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়তে সহায়তা করে। ফলে দেহের রক্তাল্পতার সমস্যায় দূরে থাকে।
৫) গুড় একটি প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে, যা শরীর থেকে টক্সিন বের করে এবং লিভারকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।
৬) মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিকের ব্যাথা কমাতে সহায়তা করে।
৭) গুড় ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, এটি স্বাস্থ্যকর এবং পরিষ্কার ত্বক পরিচালিত করে। এটি ব্রণ, এবং অন্যান্য ত্বকের সংক্রমণ প্রতিরোধেও সাহায্য করে।