১. নারকেলের চাটনি:
নারকেল, কাঁচা লঙ্কা, সাদা সর্ষে এবং নানা রকম মশলা সহযোগে তৈরি এই চাটনি সাধারণত দক্ষিণী খাবারে সঙ্গে খাওয়া হয়। তবে, গরম ভাত কিংবা পান্তার সঙ্গে খেতেও মন্দ লাগে না। কী ভাবে তৈরি করবেন এই চাটনি?
মিক্সারে নারকেল কুরিয়ে নিন। কাঁচা লঙ্কা, সাদা সর্ষে বেটে নিন। তেলে শুকনো লঙ্কা, কারি পাতা এবং গোটা সর্ষে ফোড়ন দিয়ে বেটে রাখা নারকেলের মধ্যে মিশিয়ে নিলেই চাটনি তৈরি।
২. তেঁতুলের চাটনি:
টক-মিষ্টি তেঁতুলের চাটনি তৈরি করতেও খুব ঝক্কি পোহাতে হয় না। অল্প গুড়, তেঁতুলের ক্বাথ আর সামান্য কিছু মশলা দিয়েই তৈরি করে ফেলা যায় এই চাটনি।
প্রথমে তেঁতুলের দানা বেছে আলাদা করে, তার মধ্যে গরম জল দিয়ে চটকে নিন। তার মধ্যে দিন এক কাপ জল এবং গুড়। এই সমস্ত উপকরণ কড়াইতে ফুটতে দিন। এর পর জিরে গুঁড়ো, বিটনুন, সামান্য লঙ্কা গুঁড়ো, শুকনো আদা গুঁড়ো বা শুঁঠ দিয়ে খানিক ক্ষণ ফুটিয়ে নিলেই চাটনি রেডি।
৩. বাদামের চাটনি:
চিনেবাদাম ভাজা দিয়ে ভাত খান অনেকেই। কিন্তু পান্তা বা জলঢালা ভাতের সঙ্গে বাদামের চাটনি খেতে ভালই লাগে। মিক্সিতে বেশ অনেকটা ভাজা চিনেবাদাম, সামান্য নারকেল বেটে নিন। কড়াইতে শুকনো লঙ্কা, গোটা সর্ষে এবং কারি পাতার ফোড়ন দিয়ে বেটে রাখা বাদামের মিশ্রণে মিশিয়ে দিন। ব্যস, চাটনি তৈরি।
৪. চালতার চাটনি:
চালতে কেটে একটু থেঁতো করে নিন। সামান্য নুন এবং হলুদ দিয়ে প্রেশার কুকারে সেদ্ধ করে নিতে পারলেও ভাল হয়। এ বার কড়াইতে সামান্য তেল দিন। পাঁচফোড়ন, তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে সেদ্ধ করা চালতা দিয়ে দিন। এর পর পরিমাণ মতো গুড় দিলেই চালতার চাটনি তৈরি।
৫. জলপাইয়ের চাটনি:
প্রেশার কুকারে সামান্য নুন, হলুদ দিয়ে ৭-৮টি জলপাই সেদ্ধ করে নিন। ভাল করে চটকে, দানা বেছে ফেলে দিন। কড়াইতে তেল গরম করে তার মধ্যে গোটা সর্ষে এবং শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে জলপাইয়ের ক্বাথ দিন। চিনি বা গুড় দিয়ে ফুটিয়ে নিলেই চাটনি রেডি।