দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রেগন্যান্সির ৯টা মাস মহিলাদের একটু সর্তক থাকতে হবে। নইলে কখন যে কোন বিপদ এসে পিছু নেবে, তা কিন্তু আগে থেকে অনুধাবন করা বেশ মুশকিল।
তবে অনেক মহিলাই বিশেষজ্ঞদের সাবধানবাণী উপেক্ষা করেন। আর সেই কারণেই তাঁরা মাঝেমধ্যে একটু উল্টো-পাল্টা রিচ খাবার খেয়ে বুক জ্বালার মতো সমস্যার খপ্পরে পড়েন। তারপর চট করে অ্যান্টাসিড খেয়ে সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে উদ্যত হন। কিন্তু মনে রাখবেন, গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কথায় কথায় ওষুধ খাওয়া কিন্তু উচিত নয়। এই ভুলটা করলে আদতে একাধিক জটিল সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাই বাড়বে।
এবার আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতেই পারে, তাহলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে ঠিক কী ভাবে? উত্তরে বলি, কয়েকটি ঘরোয়া টোটকার গুণেই এই সমস্যাকে অনায়াসে গুড বাই জানাতে পারবেন। তাই ঝটপট এমনই কিছু হোম রেমেডিজ সম্পর্কে দ্রুত জেনে নিন।
শুরু করুন জলপান
বুক জ্বালা শুরু হলেই সবার প্রথমে অল্প অল্প করে জলপান শুরু করুন। এই কাজটা করলেই পাকস্থলীতে অ্যাসিডের বাড়বাড়ন্ত প্রশমিত হবে। ফলে অচিরেই কমবে বুক জ্বালার মতো সমস্যা। তবে এই পরামর্শ শুনে আবার একবারে অনেকটা জল খেয়ে নেবেন না। এই ভুলের ফাঁদে পা দিলে কিন্তু আদতে বমি বমি ভাব বা বমির মতো সমস্যাই নেবে পিছু। তাই একবারে অনেকটা জল না খেয়ে অল্প অল্প করে খান।
আদার জুড়ি নেই
এই ভেষজের রয়েছে প্রদাহনাশক ক্ষমতা। এমনকী হজমক্ষমতা বাড়ানোর কাজেও এর জুড়ি মেলা ভার। তাই অ্যাসিডিটির কারণে বুকের মাঝখানটা জ্বালা করলে চটপট কয়েকটি আদার কুঁচি মুখে পুরে চুষে চুষে খান। আর যাঁরা এই ভেষজ চুষে খেতে পারবেন না, তাঁরা অল্প পরিমাণে আদা কুঁচি জল দিয়ে গিলে নিন। আশা করছি, এই কাজটা সেরে ফেলতে পারলে কিছুক্ষণের মধ্যেই সমস্যা উবে যাবে।
জোয়ানের শরণাপন্ন হন
হাজার হাজার বছর ধরে এই ধরনের সমস্যাকে বাগে আনার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে জোয়ান। তাই এবার থেকে বুক জ্বালা করলেই আর কোনও দিকে না তাকিয়ে এক চামচ জোয়ান চট করে চিবিয়ে বা গিলে খেয়ে নিন। তাতেই পেটের অন্দরে মজুত অ্যাসিডের বাড়বাড়ন্ত কমবে। এমনকী বাড়বে হজমশক্তি। তাই এবার থেকে বিপদে পড়লে এই ভেষজের শরণাপন্ন হতে ভুলবেন না যেন!
সেরার সেরা মৌরি
আমাদের অতি পরিচিত মৌরি শুধু মুখশুদ্ধিতে নয়, বরং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যাকে বাগে আনার কাজেও সিদ্ধহস্ত। তাই গর্ভাবস্থায় বুক জ্বালা করলেই ঝটপট এক চামচ মৌরি চিবিয়ে খেয়ে নিন। এই কাজটা করলেই কিন্তু উপকার পাবেন।
তবে রোগের চিকিৎসা করার থেকে রোগ প্রতিরোধ করাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। আর সেক্ষেত্রে মেনে চলুন এইসব নিয়ম–
রোগ প্রতিরোধ করবেন কী ভাবে?
১. বাড়িতে ভাজাভুজি খাওয়ার লোভ সামলান
২. ফাস্টফুড খাওয়া চলবে না
৩. প্রসেসড খাবার নৈব নৈব চ
৪. রোজ একই সময়ে খাবার খান
৫. পর্যাপ্ত পরিমাণে জলপান করুন
আশা করছি, এই কয়েকটি নিয়ম অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললেই অনায়াসে প্রেগন্যান্সিতে এই সমস্যাকে ডজ করে এগিয়ে যেতে পারবেন।