ডায়মন্ড হারবার, ৩ ডিসেম্বর : শনিবারের শুভেন্দু অধিকারী-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাই ভোল্টেজ জোড়া সভা নিয়ে রাজ্যের রাজনীতির পারদ ঊর্ধ্বমুখী । ডায়মন্ড হারবারের সভা থেকে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী । এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, "এখানকার সাংসদ সর্বভুক। কয়লা খান, বালি খান, গরু খান, স্কুলের ইউনিফর্ম খান, মদের বোতল খান। ৫৮ হাজার বেআইনি চাকরি দিয়ে সেখান থেকেও খেয়েছেন।মোদিজি বলেছেন, না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা।"
ডায়মন্ড হারবারের লাইটহাউস মাঠে শুভেন্দুর সভার আগে সকাল থেকেই জেলাজুড়ে অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। বেলা বাড়তে তা রাস্তা অবরোধ, দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, বাস ভাঙচুর, টায়ার জ্বালানোর মতো ঘটনা বাড়তেই থাকে। যা নিয়ে শুভেন্দুর বলেন, "ভাইপোর বাহিনী ভেবেছিল, এভাবে রাস্তা আটকাবে। আমি সভা করতে পারব না। সভাটা বানচাল করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ভাইপো, সভাটা হল তো? লোক কমিয়ে দিয়েছো, কিন্তু সভাটা তো হলই। আমি স্টার্টিংয়ে নয়, ফিনিশিংয়ে বিশ্বাসী। এবার ফিনিশিংয়ের দায়িত্বটা নিলাম। মমতাকে ওখানে হারিয়েছি, এবার তাড়াব।"সেইসঙ্গে নন্দীগ্রামের বিধায়ক হুঁশিয়ারি দেন পুলিশের বিরুদ্ধেও। পুলিশ আধিকারিক ভাস্কর মুখোপাধ্যায়ের নাম করে বলেন, ‘উনি কাঁথির এসডিপিও ছিলেন। ভদ্র লোক। আমি ফোন করেছিলাম। কিন্তু ওঁকে যে মাঝখানে বর্ধমান পাঠিয়েছিল বালির টাকা তুলতে সেটা জানতাম না। সেই ভাস্কর এখন তোলাবাজ ভাস্কর হয়ে গেছেন।’বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, ‘আবার এখানে সভা হবে। কিন্তু আর আপনাদের ছোট হাতি বা গাড়ি করে আসতে হবে না। এর পরেরবার ট্রেন ভাড়া করব। সেখানে হামলা করতে গেলে আরপিএফের ডান্ডার বাড়ি এমন পড়বে যে অমাবস্যা, পূর্ণিমায় কট কট করে উঠবে।’ কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রকের একটি ফাঁকা জায়গায় সভা করে বিজেপি।