kolkata

3 weeks ago

R G Kar:সেমিনার হলের ক্রাইম সিনে প্রচুর মানুষের জটলা!চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পরমুহূর্তের ভিডিও ভাইরাল

Who are they in the crime scene?
Who are they in the crime scene?

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক খুনের পরে কেটে গেছে ১৮ দিন । তারই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে ৯ অগাস্ট হাসপাতালের সেমিনার রুমের একটি ভিডিও। যা দেখে নেটিজেনরা প্রশ্ন তুলেছে একটি মৃতদের উদ্ধারের পরেও কেন পুলিশ ক্রাইম সিন ঘিরে রাখল না। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে কেন এত মানুষের জটলা সেমিনার রুমে।যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি দুরন্ত বার্তা ।

যে ভিডিয়ো সামনে এসেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, সেমিনার রুমের বাইরে শান্তনু দে-কে। তিনি আইনজীবী। স্বাস্থ্য ভবনের একাংশের মতে, এই শান্তনু দে হলেন সন্দীপ ঘোষের ছায়াসঙ্গী। কিন্তু সেখানে আইনজীবী কী করতে গিয়েছিলেন?,প্লেস অফ অকারেন্সে দেখা মিলেছে সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ ফরেনসিক চিকিৎসক  দেবাশিস সোম |তাঁকে সোমবার নিজার প্যালেসে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। তিনি আরজি করের কর্মীই নন। কিন্তু ঘটনার পর মুহূর্তেই সেমিনার রুমে দেখা গিয়েছে তাঁকে। দাবি স্বাস্থ্য ভবনের একাংশ। হেলফ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের ডিটেইমেন্ট পোস্টিং দেবাশিসের। তাহলে তিনি সেমিনার রুমে ঘটনার পরই কী করছিলেন?  প্রসূন চট্টোপাধ্যায়।

চিকিৎসক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “দেহ তড়িঘড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার থেকে শুরু করে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা। ওখানকার চিকিৎসকরাই আমাদের জানান, সেদিন সেমিনার রুমে কারা কারা এসেছিলেন, কাদের ডাকা হয়েছিল সেখানে। সন্দীপ ঘোষ সিন্ডিকেটটা চালান। আমরা সিজিও কমপ্লেক্স অভিযান চালাব, কেন তাঁদের তদন্তের আওতায় আনা হচ্ছে না।”

চিকিৎসক নেতা সজল বিশ্বাস বলেন, “সকালেই তড়িঘড়ি আমরা দেখি, শাসকদলের প্রভাবশালী চিকিৎসক নেতা হিসাবে পরিচিত, তাঁরা অকুস্থলে আসেন। এমনকি সেমিনার রুমে, যেখানে বডি পাওয়া গিয়েছিলেন, সেখানে মিটিং করে। ওই চিকিৎসক নেতারা কেউই আরজি করে কর্তব্যরত নন। স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পদাধিকারীও নন। কেন তাঁরা সেখানে গিয়েছিলেন, তা তদন্তের আওতায় আনতে হবে।”

চিকিৎসক উৎপল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য “যেখানে ভাঙচুর করা হয়েছিল সংস্কারের নামে, ক্রাইম সিনে আশপাশের এলাকা ভাঙা হয়। আমরা জেনেছিলাম, উপস্থিত ইঞ্জিনিয়ররা ওয়ার্ক অর্ডার ছাড়া কাজ করতে চাননি, তবুও চাপ দিয়ে তাঁদেরকে দিয়ে কাজ করানো হয়েছে। ওইদিন পদাধিকারী যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁরা তদন্ত বিলম্ব করতে চেয়েছিলেন।”

আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যের বক্তব্য, “আমার তো আশঙ্কা ধৃত আসলে দাবার বড়ে। একজন সিভিক ভলান্টিয়র চিকিৎসককে খুন করলেন, কেউ দেখলেন না, সেটা বিশ্বাস করা কঠিন। যতই প্রভাবশালী হোক না কেন, হাসপাতালের চিকিৎসকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয় কীভাবে?”যদিও তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের বক্তব্য, “আমরা দেখি, পাড়ার কেউ গলায় দড়ি দিলে, প্রতিবেশীরাও ঘরে এসে দাঁড়িয়ে যায়। এটা মানুষের স্বাভাবিক প্রবৃত্তি।”


You might also like!