International

4 months ago

Sheikh Hasina:আগামী ৮ই জুলাই বেইজিং যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী

Sheikh Hasina
Sheikh Hasina

 

 দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দু’দফা নয়াদিল্লি সফর এবং সেই সফরের এক মাসের মধ্যেই পূর্ব-নির্ধারিত আগামী ৮ই জুলাই বেইজিং যাচ্ছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও চিনের মধ্যে কোন দেশের কাছ থেকে কি ধরনের সহায়তা নিচ্ছে বাংলাদেশ? দিল্লি না বেইজিং কার প্রতি ঝুঁকছে ঢাকা? পরিবর্তিত ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি তথা বিশ্ব বাস্তবতায় এশিয়ার দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও চিনের মধ্যে কাকে বেশি কাছে টানছে উভয়ের বন্ধু বাংলাদেশ বা কার প্রতি বেশি আকর্ষণ বোধ করছে? বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী বা পেশাদার কূটনীতিকরা এ নিয়ে কথা বলতে বরাবরই সতর্ক। তারা প্রায়শই বাংলাদেশের ‘ব্যালেন্স ফরেন পলিসি’র কথা বলার চেষ্টা করেন। ভারসাম্য রক্ষার চেষ্টাই প্রতিনিয়ত করে চলেছে ঢাকা। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে অনুষ্ঠিত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভারত এবং উন্নয়ন সহযোগী চিনের জোরালো সমর্থন ছিল।

এদিকে ব্যাক টু ব্যাক প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফর এবং স্বল্প সময়ের মধ্যে বেইজিং সফরের প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সদ্য সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ চিনের দিকে ঝুঁকছে না। এ নিয়ে কারও ভয়ের কোনো কারণ নেই। মোমেন মনে করেন ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে কোনো খাদ নেই। এ বন্ধুত্ব অক্ষুণ্ন এবং অটুট। মোমেনের মতে, মালদ্বীপের পর বাংলাদেশে চিনের প্রভাব বাড়ছে মর্মে যে প্রচারণা চালানো হচ্ছে তা অমূলক। তিনি দাবি করেন বাংলাদেশ চিনের প্রভাবে প্রভাবিত হচ্ছে না। চিন কেবলমাত্র বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগী। তারা শুধু এ দেশের কিছু প্রজেক্টে সহযোগিতা করছে। চিন থেকে বাংলাদেশ যা পেয়েছে তা জিডিপি’র ১ শতাংশের কম উল্লেখ করে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এটা উল্লেখযোগ্য কোনো ঘটনা নয়। তার মতে, বাংলাদেশ চিনের দিকে ঝুঁকছে এটা একটা প্রোপাগান্ডা মাত্র।

চিন না ভারত কার প্রতি বাংলাদেশ ঝুঁকছে? এমন প্রশ্ন উঠেছিল সরকারপ্রধানের সর্বশেষ সংবাদ সম্মেলনে। প্রধানমন্ত্রীর নয়াদিল্লি সফরের পর বেইজিং সফর প্রস্তুতির প্রসঙ্গে প্রশ্নটি এসেছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন। অতি সম্প্রতি ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা এক নিবন্ধে বাংলাদেশে চিনের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে সতর্ক করেছেন। তিনি খোলাসা করেই বলেন, এটি বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিল্লি সফরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ সফরে আসেন চিনের কমিউনিস্ট পার্টি নেতা ও আন্তর্জাতিক বিভাগের মন্ত্রী লিউ জিয়ানচাও। সঙ্গে ছিলেন ৫ সদস্যের প্রতিনিধিদল। চিনের রাজনীতিতে অত্যন্ত ইনফ্লুয়েনশিয়াল ব্যক্তিত্ব লিউ ঢাকায় আসার পর প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সুযোগ পেয়েছেন। বৈঠক হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে। চিনের ওই অতিথির সম্মানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী একটি মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেছিলেন। রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ওই ভোজ-বৈঠক হয়। কূটনৈতিক সূত্র বলছে, চিনা কমিউনিস্ট পার্টির ওই নেতা তার প্রত্যাশা অনুযায়ী রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ পেয়েছেন। রাষ্ট্রীয় প্রোটোকল বিবেচনায় সেটি পাওয়ার কথা ছিল না। তারপরও চিনের চাওয়া ছিল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক তথা লাঞ্চের আয়োজন, যা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এড়িয়ে গেছে ঢাকা। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে আমন্ত্রণ না জানানোর মধ্য দিয়ে খানিকটা ব্যালেন্স রক্ষার চেষ্টা করা হয়েছে বলে দাবি করেন এক কূটনীতিক।

You might also like!