তবে ঋষি সুনকের পক্ষে এই লড়াইটা মোটেও সহজ হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
২০১৬ সালে ব্রেক্সিটের পর এই নিয়ে তৃতীয় বার সাধারণ নির্বাচন হতে চলেছে ব্রিটেনে। যদিও ব্রেক্সিটের ক্ষত এখনও ভোলেননি ব্রিটেনবাসী। এই নির্বাচনেও তার ছাপ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অভিযোগ, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর আমলে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে লাগামছাড়া। ২০২২ সালের শেষে ব্রিটেনে মূল্যবৃদ্ধির হার গিয়ে ঠেকেছিল ১১ শতাংশে, যা নজির সৃষ্টি করেছিল। মার্চে তা অনেকটাই কমে যায়। সেদেশের অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্ট জানান, তাঁদের সরকারের পরিকল্পণা কাজে দিয়ছে। যদিও তাতে দেশবাসীর অসন্তোষ খুব একটা কমেনি।
একইসঙ্গে কোভিড পরবর্তী ব্রিটেনের পরিস্থিতিও হতাশ করেছে দেশবাসীকে। একটা অংশের মতে, মাত্র ৪৯ দিন ক্ষমতায় ছিলেন লিড ট্রাস। কিন্তু সেই সময়ে তাঁর রাজস্ব সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত বিপাকে ফেলে ব্রিটেনের মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে। পড়ে যায় পাউন্ডের দাম। তারপর সেই পরিস্থিতি মেরামতের জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন সুনক। তবে তাতে সফল কতটা হয়েছেন তা বলবে সময়।
সম্প্রতি লন্ডনে মেয়র পদের ভোটে কনসারভেটিভ পার্টিকে হারিয়ে ফের ক্ষমতায় বসেছে লেবার পার্টি। এই নিয়ে টানা তিনবার লন্ডনের মেয়র পদ নিজেদের দখলে রাখলেন লেবার পার্টির সাদিক খান। বিভিন্ন সমীক্ষাতেও সুনকের দলের শোচনীয় আভাস দেওয়া হয়েছিল। এমন আবহে দেশের সাধারণ নির্বাচন যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা বার বার ভোটের দিন ঘোষণার দাবি জানিয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী, ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে ব্রিটেনে ভোট করাতে হবে। সুনক বলেন বছরের দ্বিতীয়ার্ধে হবে ভোট। বুধবার প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, রাষ্ট্রের প্রধান রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁরে পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।
বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, ‘রাজা এই আর্জি মেনে নিয়েছেন। ৪ জুলাই ব্রিটেনে সাধারণ নির্বাচন। এখন ভবিষ্যৎ বির্ধারণের সময় এসেছে ব্রিটেনে।