ঢাকা,৮ জুলাই: তিস্তা বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ নদী। তাই তিস্তা প্রকল্পে ভারতের প্রস্তাব আগে বিবেচনায় নিতে হবে। তিস্তা প্রকল্পের জন্য ভারত একটি টেকনিক্যাল টিম পাঠাবে। তবে চিনের প্রস্তাবও ভালো। এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। রবিবার বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চিন সফর নিয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজনের করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর চিন সফরে তিস্তা আলোচনা উঠবে কিনা জানতে চাইলে বিদেশ মন্ত্রী জানান, তারা (চিন) এ বিষয়টি উঠালে আলোচনা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন চিন সফরে ২০ থেকে ২২টির মতো সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এই তথ্য জানান।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-চিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সূচনা হয়েছিল স্বাধীনতারও পূর্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৫২ সালে ঐতিহাসিক চিন সফরের মাধ্যমে। সে সময় চিনের তৎকালীন নেতা মাও সে-তুং -এর সাথে জাতির পিতার সাক্ষাৎ হয়েছিল। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে বঙ্গবন্ধু রচনা করেন “আমার দেখা নয়াচিন” বইটি।
হাছান মাহমুদ বলেন, চিন ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়, যার ধারাবাহিকতায় দুই দেশ পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে উন্নয়নের পথে অগ্রসরমান আছে। ২০১৬ সালে শি চিনপিং-এর ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক “কৌশলগত সহযোগিতার অংশীদারিত্ব” -এ উন্নীত হয়। চিন বাংদেশের অবকাঠামোগত এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে একজন গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী হিসেবে কাজ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
বিদেশ মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর চিন সফরকালে অর্থমন্ত্রী, বিদেশ মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, অন্যান্য সচিবসহ সরকারের উচ্চপর্যায়ের সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তারা সফরসঙ্গী হবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ জুলাই সকাল ১১টায় বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে করে দেশ ত্যাগ করবেন। আগামী ১১ জুলাই চিন থেকে বাংলাদেশে ফিরবেন।উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিন সফরে গিয়েছিলেন।