নদিয়া, ১৩ মে: সোমবার কৃষ্ণনগরের চাপড়ার একটি বুথে সিপিএমের এজেন্টকে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। তা নিয়ে বাম এবং তৃণমূল কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে থানারপাড়া থানার পুলিশ। নাকাশিপাড়ার আড়ারবেঘিয়া গ্রামের একটি বুথে একই ঘটনা ঘটে। এ দিন সিপিএম পরিচালিত নদিয়ার পালিতবেঘিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে কালিগঞ্জ থানা এলাকার সিপিএম প্রধানের আত্মীয়কে মারধরের অভিযোগ ওঠে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। আক্রান্তের নাম হাসমুত শেখ। অভিযোগ, চেয়ার, টেবিল নিয়ে বসতে বাধা দেওয়া হয়। বসতে গেলে মারধর করা হয়।
বামেদের অভিযোগ, এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসকদল। একই অভিযোগ করেছে বিজেপিও। পাল্টা বিজেপি এবং সিপিএমের বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোর অভিযোগ তোলে তৃণমূল।
কৃষ্ণনগরের সিপিএম প্রার্থী এসএম সাদির অভিযোগ, ‘‘তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে সকাল থেকেই। বাম কর্মীরা বিভিন্ন জায়গায় প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। সন্ত্রাস রুখে দেবে তারা। সাধারণ মানুষ ভোট দেবেন। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশকে জানিয়েও ব্যবস্থা হয়নি।’’ বিজেপি প্রার্থী অমৃত রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল ভোটারদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আমরা নির্বাচন কমিশনকে বিষয়টা জানিয়েছি।’’
অন্য দিকে, কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলেন, ‘‘শান্তিপূর্ণ ভোটে বাম এবং বিজেপি ইচ্ছাকৃত অশান্তি করতে চাইছে। তৃণমূল কর্মীরা যথেষ্ট সংযমের পরিচয় দিচ্ছে।’’