জলপাইগুড়ি, ২৪ জুলাই : চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ ঘিরে বুধবার রাত থেকে অশান্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। বুধবার রাত আটটা নাগাদ পায়ে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে আসেন নান্টু দে সরকার নামে ৫২ বছরের এক ব্যক্তি। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পবিত্র নগর কলোনি এলাকায় তাঁর বাড়ি। নান্টুবাবুর ছেলে নদাই দে সরকার বলেন, ‘বাবা হেঁটে হাসপাতালে ঢোকেন। জরুরি বিভাগে দেখানোর পর বাবাকে পাঁচতলায় সার্জারি বিভাগে ভর্তির জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর থেকেই বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। অসাড় হয়ে যায় পা। গা, হাত, পা শক্ত হয়ে যায়।’
রোগীর পরিবারের অভিযোগ, চিকিৎসককে ডাকার প্রায় ৪৫ মিনিট পর এসে পৌঁছন। রোগীকে দেখে মন্তব্য করেন, ‘এই রোগীকে তো মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করার কথা। সার্জারিতে নিয়ে আসা হল কেন?’ রোগীর বাড়ির লোকজনের দাবি, চিকিৎসক আসার পর নতুন করে অক্সিজেন, স্যালাইন দেওয়া হয়। কিন্তু ওয়ার্ডে ইসিজির ব্যবস্থা করতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যায়। শেষমেশ ইসিজি করার পর চিকিৎসক জানিয়ে দেন, রোগী মারা গিয়েছেন। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীর পরিজনরা।