দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে জামিনের আবেদন জানালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী ও তাঁর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। সিবিআই মামলায় সম্প্রতি আত্মসমর্পণ করেছিলেন দু’জনেই। এবার আদালতে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি জানিয়ে মুক্তির আরজি জানিয়েছেন বাবা ও মেয়ে।
বৃহস্পতিবার সিবিআই-য়ের বিশেষ আদালতে পরেশ অধিকারী এবং অঙ্কিতা অধিকারীর আইনজীবী দাবী করেন, অঙ্কিতা যখন চাকরি পান, তখন পরেশ চন্দ্র অধিকারী দলের কোনও পদে ছিলেন না। তিনি একজন সাধারণ কর্মী হিসেবেই দলের কাজ করতেন। সুতরাং কাউকে প্রভাবিত করে কিংবা কারুর প্রভাবে অঙ্কিতা চাকরি পাননি। তিনি চাকরি পেয়েছিলেন নিজের যোগ্যতায়। সুতরাং প্রভাবিত করার যে বিষয়টি উঠছে, তা ভিত্তিহীন। এবং বাবা-মেয়ে দু’জনেই নির্দোষ।
এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ২০১৬ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা হিসেবে চাকরি পেয়েছিলেন পরেশ কন্যা। পরবর্তীতে তাঁর চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন শিলিগুড়ির চাকরি প্রার্থী ববিতা সরকার। ববিতার মামলার সূত্র ধরে ২০২২ সালের মে মাসে অঙ্কিতার চাকরি বাতিল করেন তৎকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ববিতাকে সবেতন চাকরি ফেরতের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি। আবার ববিতার নম্বর মূল্যায়নে ভুল হওয়ায় শেষমেশ সেই চাকরি পেয়েছিলেন শিলিগুড়ির এক শিক্ষিকা অনামিকা রায়। যদিও তাঁর চাকরিও চলে যায় সুপ্রিম রায়ে। মানে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের তালিকায় তাঁর নামও ছিল। এত কিছুর মাঝে সম্প্রতি দেখা যায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে ‘দাগি অযোগ্যদের’ যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে ১০৪ নম্বরে জ্বলজ্বল করছে প্রাক্তন মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর নাম।
নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে জল যখন তীব্রভাবে ঘনিয়েছে, ঠিক তখনই এসএসসির নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ স্তরের মামলায় চূড়ান্ত চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। এখন পর্যন্ত মোট চারটি চার্জশিট আদালতে পেশ করা হয়েছে। চার্জশিট জমা পড়ার পরই ৭৫ জন অভিযুক্তকে আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশের পরেই আদালতে আত্মসমর্পণ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারী এবং তাঁর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী। এবার আত্মসমর্পণের পর তাঁরা আদালতে নিজেদের নির্দোষ বলে দাবি জানালেন।