উত্তর ২৪ পরগনা, ১৫ জুন: ইদ-উল ফিতরের মতই টানা ছুটি মিলেছে ইদ-উল আজহাতেও। সোমবার পালিত হবে ইদ-উল আজহা। এই ইদে টানা পাঁচদিন ছুটি পাচ্ছেন বাংলাদেশের চাকরিজীবীরা। তাই এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে, ভারতে বেড়াতে আসতে চাইছেন অনেকেই। ইদের সময়ে বন্ধ থাকছে মৈত্রী এক্সপ্রেস এবং বন্ধন এক্সপ্রেস। ফলে চাপ বেড়েছে বেনাপোলে। অভিযোগ, ভারতে আসতে চাওয়া বাংলাদেশিদের পড়তে হচ্ছে নানা রকম দুর্ভোগের মুখে।
ইদ-উল আজহায় বাংলাদেশে ছুটি আছে মঙ্গলবার পর্যন্ত। সরকারি অফিসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বন্ধ বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানও। তাই, টানা ছুটি পেয়ে চিকিৎসা, ভ্রমণ এবং আত্মীয়দের সঙ্গে ইদ পালন করতে অনেকে আসছেন ভারতে। আবার ভারত থেকেও অনেকেই আসছেন বাংলাদেশে। বেনাপোল সীমান্তে হচ্ছে অতিরিক্ত ভিড় এবং চাপ। ফলে স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে যাত্রীদের চাপ অনেকটাই বেড়েছে এই সীমান্তে। এই চাপ সামলাতে হিমসিম খেতে হয় আধিকারিকদের।
বেনাপোল বন্দর পরিচালক রেজাউল করিম জানান, স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসেন প্রায় সাড়ে ৩হাজার জন। কিন্তু শুক্রবারই এই সীমান্ত নিয়ে ভারতে গিয়েছেন ৬ হাজারের বেশি যাত্রী। শনিবার সংখ্যাটা আরও বেড়েছে। সেখানে যাত্রীসেবার মান বাড়াতে নানান পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বেনাপোল স্থলবন্দর আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশের ইনচার্জ বাদলচন্দ্র রায় জানান, ইদে যাত্রীদের চাপ বাড়ায় তারাও অতিরিক্ত কর্মী এবং পুলিশ মোতায়েন করেছেন। ভোগান্তি কমাতে দালাল শ্রেণির কাছে যাতে কেউ পাসপোর্ট না দেন সেটাও যাত্রীদের বলা হয়েছে।যাত্রীদের অভিযোগ, ভ্রমণ কর বাবদ বাংলাদেশের বছরে প্রায় ১০০ কোটি টাকা এবং ভিসা ফি বাবদ ভারতের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা আয় হয়। ভ্রমণের ক্ষেত্রে বছরে বছরে এই অর্থের পরিমাণ দুই দেশে বাড়ালেও সেবার বাড়ানোর দিকে তাদের লক্ষ্য নেই বলে অভিযোগ যাত্রীদের। যাত্রীরা জানান, ভ্রমণ কর বিবাদ বাংলাদেশ ১০৫৫ টাকা এবং ভিসা বাবদ ভারত ৮৫০ টাকা নিচ্ছে। কিন্তু সেখানে তাঁদের অনেক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এই গরমের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।