দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ সুকান্ত শনিবারেই ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার পরে ডায়মন্ড হারবারে পা রেখেছিলেন। বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে জনসভা না করে সেখানে তিনি একটি বৈঠক করেন। তবে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিজেপি নেতাদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছেন ভোটের চার-পাঁচদিন আগে ডায়মন্ড হারবারের মতো ‘হাই-প্রোফাইল’ কেন্দ্রে সাংগঠনিক বৈঠক করে লাভ কী?
প্রধানমন্ত্রী মঙ্গলবারই কলকাতা উত্তর লোকসভা কেন্দ্রে রোডশো করেন। এর পাশাপাশি অশকনগরে জনসভাও করেন। বিজেপি সূত্র মারফত প্রাপ্ত খবর অনুসারে, আজ, ২৯ তারিখ ডায়মন্ড হারবার, মথুরাপুর এবং জয়নগর মিলিয়ে একটি জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। সেটাও হবে মথুরাপুরে। সূত্রের খবর, গেরুয়া শিবিরের অনেকেই চেয়েছিলেন, শেষ মুহূর্তে অভিষেকের স্নায়ুর চাপ বাড়াতে সভাস্থল ডায়মন্ড হারবারের কোথাও হোক। কিন্তু সে সম্ভাবনা উবে গিয়েছে।
কারণ, জয়ের সম্ভাবনার নিরিখে বিজেপির পর্যালোচনায় এগিয়ে রয়েছে মথুরাপুর। ফলে মোদী সেখানেই সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে ধারণা অনেকের। মোদীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অমিত শাহও গত দু’মাসে বাংলায় একাধিক নির্বাচনী জনসভা করেছেন। তাঁরও ডায়মন্ড হারবারে কোনও সভা করার কথা নেই বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে। শাহ আর একটিই রোড-শো করতে পারেন বাংলায়, সেটা কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রে।
ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাসের জবাব, ‘আমাকে কেন জিজ্ঞাসা করছেন! এটা রাজ্য অথবা কেন্দ্রীয় নেতারাই বলতে পারবেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর জন্য অবশ্য বড় নেতাদের এখানে ছুটে আসার প্রয়োজন নেই। আমি একাই যথেষ্ট।’
বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যর কথায়, ‘সব কিছু ঠিকই আছে। প্রচার ভালোই চলছে ডায়মন্ড হারবারে। ঝাঁজ আরও বাড়বে। ঠিক সময়ে সবাই সেটা দেখতে পাবেন।’ তৃণমূল অবশ্য মনে করছে ডায়মন্ড হারবারে ভরাডুবির আশঙ্কাতেই বিজেপি নেতারা সেখানে যাওয়ার উৎসাহ হারিয়েছেন।
তৃণমূলের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘ডায়মন্ড হারবারে যে তৃণমূল জিতছে, তা নিয়ে কারও মনে কোনও সন্দেহ নেই। বিজেপি-ও তা বিলক্ষণ জানে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে গতবারের থেকে মার্জিন আরও বাড়ানোর জন্য লড়াই করছেন।’ তবে প্রথম থেকে ওই কেন্দ্র নিয়ে গেরুয়া শিবিরের সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছে ভোটারদের মনেও। প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হওয়ার বহু পরে এই কেন্দ্রে পদ্ম প্রতীকে কে লড়াই করবেন তা ঠিক হয়। যা নিয়ে প্রবল আলোচনাও শুরু হয়েছিল।