দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বৃষ্টির অভাবে বিঘার পর বিঘা জমিতে চাষ হয়নি। জলের অভাবে মাটিতে ধরেছে চিড়। দামোদর সেচ ক্যানেল থেকে জলছাড়ার দাবি জানাচ্ছিলেন চাষিরা। অবশেষে চাষিদের সেই দাবি মেনে দামোদরের জল ছাড়ার কাজ শুরু করল সেচ দফতর।
দক্ষিণবঙ্গে এবারে বৃষ্টির ঘাটতির পূর্বাভাস আগেই জানিয়েছিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পরিসংখ্যান অনুযায়ী জুলাইয়ের শেষেও দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির ঘাটতির পরিমাণ ৪৪ শতাংশ। যা এবারে পূরণ হওয়ার সম্ভবনা কম। হাওয়া অফিসের দাবি, অন্যান্যবারের মতো এবারে টানা বৃষ্টি বা ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা এখনও নেই।
সেচ দফতরের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সঞ্জয় মজুমদার জানান, শনিবার থেকে দামোদর সেচ ক্যানেল থেকে জল ছাড়া শুরু হল। প্রাথমিক পর্যায়ে ১ লক্ষ ৩০ হাজার একর ফিট জল ছাড়া হবে। টানা ১২ থেকে ১৫ দিন এই জল ছাড়ার প্রক্রিয়া চলবে।
সঞ্জয়বাবু জানান, যেহেতু এবারে বৃষ্টির পরিমাণ কম তাই চাষের স্বার্থে অক্টোবর পর্যন্ত দফায় দফায় জল ছাড়া হবে। জানা যাচ্ছে মাইথন ও পাঞ্চেত ব্যারেজের জল দামোদর থেকে ছাড়া হল। এখানে সেচ দফতরের দুটি সেচখাল রয়েছে। জল ছাড়ার ফলে বর্ধমান, হুগলি, হাওড়া ও বাঁকুড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকার চাষিরা উপকৃত হবেন।