West Bengal

2 months ago

Durgapur:দুর্গাপুরে একাধিক ওয়ার্ড জলমগ্ন, দুর্ভোগে শহরবাসী

Several wards in Durgapur are under water
Several wards in Durgapur are under water

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ- ফের রাতভর একনাগাড়ে বৃষ্টি। আর তার জেরে আবার জলমগ্ন শিল্পশহরের একধিক ওয়ার্ডের জনবসতি। শহরের রাস্তা নিয়েছে নদীর রূপ। আর তাতে প্রশ্ন উঠেছে শহরের জল নিকাশি ব্যবস্থায়। 'দুয়ারে গঙ্গা' বলে তীব্র কটাক্ষ করেছে বিজেপি। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতভর দু্র্গাপুর সহ আশপাশের এলাকায় প্রবল বৃষ্টি হয়। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, ১১২.৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে শিল্পশহর দুর্গাপুরে। আসানসোলে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর তাতেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে দুর্গাপুরের একাধিক এলাকা। দেখা গেছে, শহরের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে নদীর মতো জলের স্রোত। দুর্গাপুর পুরসভার মেনগেট, সেপকো টাউনশিপ, গভর্নমেন্ট কলেজ সংলগ্ন বস্তি, নিবেদিতা পল্লী, শ্রীনগরপল্লী, স্টীল পার্ক, মহালক্ষী পার্ক, দুর্গাপুর এনআইটির সামনের রাস্তা, ৫৪ ফুট, সারদা পল্লী, আনন্দপুরী, এমএএমসি এলাকার শরৎপল্লী, রবীন্দ্রপল্লীসহ বহু জায়গা জলের তলায়। এমনই শোচনীয় পরিস্থিতি যে ৫৪ ফুট থেকে চারচাকা গাড়িকে ভাসতে ভাসতে তপোবন এলাকায় চলে যেতে দেখা যায়। এনআইটির সামনের রাস্তায় বাইক ভেসে হাইড্রেনে ঢুকে যায়। বরাত জেরে প্রাণে বাঁচে বাইক আরোহী। গভর্মেন্ট কলেজ সংলগ্ন বস্তি এলাকা জলের তলায় ডুবে গেছে। কলেজে আশ্রয় নিয়েছে বস্তি এলাকার বাসিন্দারা। এই শোচনীয় অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দারা অন্যদিকে সেপকো টাউনশিপ এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন," আগে কখনও এলাকায় এভাবে জলের তলায় চলে যায়নি। তাদের অভিযোগ, শহরের নিকাশী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। অবৈধভাবে নির্মান, অপরিকল্পিত নগরায়নের দরুন বার বার জল যন্ত্রনায় ভুগছে শহরবাসী। অথচ কারও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। " এদিন দুর্গত মানুষজন ক্ষোভ উগরে জানান," কেবল শাসক বিরোধীদের চাপান উতোরের খেলা চলছে। আর এই টানাপোড়নে প্রাণ ওষ্ঠাগত ভুক্তভোগী পুরবাসীর। একটাই প্রশ্ন এই জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি মিলবে কীভাবে?" দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসক অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন," দুর্গত এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বিপর্যয় মোকাবিলা দল কাজ করছে। পুরসভার ৪৩টি ওয়ার্ড। বর্ষার আগে শহরের সব হাইড্রেন পরিষ্কার করা হয়। বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী অতীতের বামফ্রন্ট বোর্ড। তৎকালীন সময় সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনা করে নিকাশি ব্যবস্থা তৈরি হয়নি। এখন প্রায় তিনগুন জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। জনবসতি বেড়েছে। সেসব নিকাশি ব্যবস্থা খোলনলচে এখন বদলে ফেলতে হবে। তার প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের অজান্তে নিকাশির ওপর জবরদখল হয়েছে। যার ফলে বর্ষার প্লাবিত জল নিকাশিতে বাধা পাচ্ছে।" তিনি আরও বলেন," অবৈধ নির্মানের কোনও অভিযোগ আসেনি। সেরকম লিখিত অভিযোগ এলে অবশ্যই কঠোরভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।"

You might also like!