দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্য সরকারের উদ্যোগে ডায়মন্ড হারবারের হুগলি নদীর বাঁধ কংক্রিটের তৈরি করা হলো। নির্মাণ কাজ শেষ হতেই মঙ্গলবার হাবরা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ডায়মন্ড হারবার ২ নম্বর ব্লকের নুরপুরের শ্রীফলবেড়িয়া এলাকার শান্তিধাম থেকে হাটখোলা পর্যন্ত প্রায় ৯০০ মিটার স্থায়ী ভাবে কংক্রিটের নদীবাঁধ গড়ে তোলা হয়।
এতে উপকৃত হবেন নদী তীরের গ্রামগুলোর বাসিন্দারা। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে মাটির নদীবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হতো এলাকা। এই কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের ফলে প্লাবনের হাত থেকে রক্ষা পেলেন এলাকার ৫০টির বেশি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। এই কাজের জন্য রাজ্য সরকারের সেচ ও জলপথ দপ্তরের পক্ষ থেকে প্রায় ৭ কোটি ৬৪ লক্ষেরও বেশি টাকা ব্যয় করা হয়েছে।
অন্য দিকে, এ দিন ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার নুরপুরে নতুন একটি পল্টন জেটিরও ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৫ কোটি ৪৯ লক্ষ টাকা ব্যয়ে কংক্রিট, লোহা ও কাঠের তৈরি এই পন্টুন জেটিঘাটটি তৈরিতে ব্যয় করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে নুরপুরে একটি স্থায়ী জেটিঘাটের দাবি ছিল এলাকার বাসিন্দা থেকে নিত্য যাত্রীদের।
পূর্ব মেদিনীপুরের কুঁকড়াহাটি এবং হাওড়া শ্যামপুরে যেতে গেলে নুরপুরের ঘাট থেকে বাঁশের সাঁকো এবং কখনও কাঁদা ঘেঁটে ভুটভুটিতে উঠে নদী পারাপার করতে হতো যাত্রীদের। উদ্বোধনের পর এ দিন নতুন জেটিটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আগামী দিনে এই জেটিঘাট থেকে ভেসেল চালানো হবে বলে জানা গিয়েছে।
এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সেচ দপ্তরের ডায়মন্ড হারবার মহকুমার অধিকারিক অভিনব মজুমদার, বিধায়ক পান্নালাল হালদার, বিডিও সুকান্ত অধিকারী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি লায়লা বিবি, পূর্তের কর্মাধ্যক্ষ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, এ দিন কাকদ্বীপ মহকুমা হাসপাতালে সিটি স্ক্যান ও ডায়ালিসিস পরিষেবা চালু করা হয়।
ফিতে কেটে উদ্বোধন করেন কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরা। এই পরিষেবা চালু হওয়ায় আগামী দিনে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত এলাকা পাথরপ্রতিমা, সাগর ও নামখানা এলাকার বাসিন্দারা উপকৃত হবেন বলে জানান মন্টুরাম পাখিরা।