দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ আগামী ৩ জুলাই কয়লা পাচার মামলায় আসানসোল সিবিআই আদালতে চার্জ গঠনের দিন। তার ঠিক আগে এই মামলায় ইসিএলের প্রাক্তন এক জেনারেল ম্যানেজার ও দুই কয়লা ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গত মঙ্গলবার ইসিএলের কুনস্তরিয়া এরিয়ার প্রাক্তন জেনারেল ম্যানেজার অমিত ধরকে নিজাম প্যালেসে ডেকে পাঠান গোয়েন্দারা।
সেখানে জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় অমিত ধরকে। একই ভাবে ওই দিনেই দুই কয়লা ব্যবসায়ী বাপি ঠাকুর ও বিদ্যাসাগর দাসকেও সিবিআই গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার তিন জনকে আসানসোল আদালতে পেশ করা হলে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে এই গ্রেপ্তারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিচারক চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন।
এদিনএ সিবিআইকে বিচারকের বেশ কিছু প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়। ২০২০ সালের কয়লা কাণ্ডে সিবিআইয়ের এফআইআরে প্রথম নামই ছিল অমিত ধরের। সিবিআইয়ের আইনজীবীর কাছে বিচারক জানতে চান, চার বছর পরে এখন কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো? কীসের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল? কেনই বা এই এপ্রিল মাসে তাঁকে গ্রেপ্তারের অনুমোদন নেওয়া হলো?
তাঁদের হাতে কি কোনও ডকুমেন্ট ছিল না? অথচ এর মধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল যাদের নাম এফআইআর-এ ছিল না। বিচারক প্রশ্ন তোলেন, এফআইআর-এ থাকা আর এক জনকে তাহলে এখনও কেন গ্রেপ্তার করা হয়নি? বিচারকের এই সব প্রশ্নের সদুত্তর সিবিআইয়ের আইনজীবী দিতে পারেননি।
বিচারক জানতে চান আগামী ৩ জুলাই এই মামলায় চার্জ গঠন হওয়ার কথা। সেটা কি আদৌ হবে। ধৃতদের আইনজীবী শেখর কুণ্ডু বলেন, ‘আগামী ৩ জুলাই এই মামলায় বিচারক সিবিআইকে চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। তা নিয়ে সন্দেহ আছে। চার্জ গঠনের আগে এখন যাদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে তাদের নামে চার্জশিট জমা দিতে হবে সিবিআইকে।’