দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চলছে গরমের মরশুম। তারই মধ্যে শিলিগুড়িরবাসীর জন্য দুশ্চিন্তার বার্তা। আজ শুক্রবার থেকে আগামী ২ সপ্তাহ শিলিগুড়ি শহরে কমতে চলেছে জল সরবরাহ। এর জেরে শহরজুড়ে জল সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই শহরে বিভিন্ন জায়গায় জলের জন্য লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে।
বাঁধ মেরামতের জেরে তিস্তার জল সরবরাহ করা হবে না। মহানন্দায় যে জল প্রবাহিত হয় সেই জল সরবরাহ করা হবে। ইনটেক ওয়েল-এর জলস্তর ১০৭.৩৫ মিটার ধরে রাখলে বেশি সমস্যা হবে না বলেই খবর। তবে ভারী বৃষ্টি হলে জল ঘোলা হয়ে সমস্যা বৃদ্ধির আশঙ্কা থাকছে। জানা গিয়েছে, তিস্তার বাঁধের কাজ শেষ করতে অন্তত ১৫ দিন সময় লাগবে। সেচ দফতরের তরফে করা হচ্ছে এই কাজ। এই পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি শহরের ৪৭ টি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ কমবে।
কী কী ব্যবস্থা নিচ্ছে পুর কর্তৃপক্ষ?
এদিকে পুরনিগমের দাবি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে প্রস্তুত থাকা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই শহরবাসীদের জন্য হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে। সেই নম্বরটি হল - ৭৫৫৭০৩৫১৯৪। এই বিষয়ে শিলিগুড়ি মেয়র গৌতম দেব বলেন, 'শহরবাসীর কিছুটা সমস্যা হবে। তবে বাঁধ সংস্কারের কাজ জরুরি। আমরা জলের ট্যাঙ্ক, জলের পাউচ রেখেছি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেগুলি পাঠানো হবে।' এছাড়াও ওয়ার্ডগুলিতে জলের ঘাটতি মেটাতে ২১টি ট্যাঙ্ক তৈরি রাখা হয়েছে। যে সমস্ত এলাকা থেকে পানীয় জলের অভাবের অভিযোগ আসবে সেখানেই ট্যাঙ্কের মাধ্যমে জল পাঠান হবে। এছাড়াও বরোগুলিতে জলের পাউচ পাঠান হয়েছে। রোজ বরোভিত্তিক ৩ হাজার জলের পাউচ বিলি করা হবে।
টিউবওয়েলের সামনে লম্বা লাইন
যদিও জলের সরবরাহ কমার কথা ছড়িয়ে পড়তেই দুশ্চিন্তার ভাঁজ শিলিগুড়িবাসীর কপালে। জল সঙ্কটের আশঙ্কায় পুরনিগমের বিভিন্ন টিউবওয়েলের সামনে ইতিমধ্যেই লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। অনেকেই বড় বড় ড্রাম, জার বা অন্যান্য পাত্রে পানীয় জল ভরে নিয়ে যাচ্ছেন। অর্থাৎ প্রত্যেকেই চাইছেন যতটা সম্ভব জল বাড়িতে সংরক্ষণ করে রাখতে।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন বৃষ্টি হলেও তার আগে জেলায় জেলায় তৈরি হয়েছিল তাপপ্রবাহ পরিস্থিতি। দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে একাধিক জেলাতেও দাপট চলে গরমের। আর গরমে একদিকে যেমন মানুষের জলপানের পরিমাণ বেড়ে যায়, তেমনই স্নান সহ অন্যান্য কাজেও জলের বাড়তি ব্যবহার হয়। সেই জায়গা থেকে আগামী ১৫ দিনে কী হতে চলেছে তা নিয়ে যথেষ্টই উদ্বেগের মধ্যে শিলিগুড়ির মানুষ।