দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ উড়িষ্যা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে বেশ বড়ো অঞ্চল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে 'হতিবাড়ি' এলাকা। দিনের বেলা শুধু গাছের মর্মর ধ্বনি আর অজস্র পাখির কোলাহল, আর রাতে প্রাকৃতিক নৈঃশব্দের মাঝে ডেকে ওঠা বন্যপ্রাণীর চিৎকারের মাঝে যদি ২/৩ টে দিন কাটানো যায়,তাহলে সারা বছরের ক্লান্তি যাবে দূর হয়ে। এখানে শাল,শিরীষ, পলাশ, মহুয়া আর সেগুনে ঘেরা ঘন জঙ্গলের মাঝে আপন বেগে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা। তার মন কেমন করা স্রোতের আওয়াজে মুগ্ধ হবেন যে-কেউ। গাছপালার ঠাণ্ডা বাতাস গায়ে মেখে সারাদিন ঘুরে বেড়াবেন প্রকৃতির কোলে। আর রাত বাড়লেই কান পাতলে শুনতে পাবেন, চারপাশের নীরবতা ভেঙে ভেসে আসা বন্যপ্রাণীদের হুংকার। কি, হারিয়ে গেলেন তো ভাবনার জগতে? আসলে এমন প্রাকৃতিক রসে পূর্ণ হতিবাড়ি।
হতিবাড়ি নামটার মধ্যেই আছে একটা হাতির গন্ধ। আসলে হাতিবাড়ির একটি বিশেষ আকর্ষণ হল হাতি চলাচলের পথ বা ‘এলিফ্যান্ট করিডর’। এটি ঝাড়গ্রাম থেকে দুমলা রেঞ্জ পর্যন্ত বিস্তৃত। তাই একদিকে যেমন এই অঞ্চলের নাম হতিবাড়ি অন্যদিকে ভাগ্য ভালো থাকলে চোখে পড়ে যাবে সারিবদ্ধ হাতির দল।মন রোমাঞ্চে ভরে উঠবে।
এখানে দু'দিন থাকলে অবশ্যই একটা গাড়ি ভাড়া নিয়ে কয়েকটা অপূর্ব জায়গা ঘুরে আসতে পারেন। জঙ্গল আর সুবর্ণরেখা নদী তো আছেই। এছাড়াও যেতে পারেন চিল্কিগড়। সেখানে রয়েছে জামবনীর রাজা গোপীনাথ সিংহের বহু প্রাচীন রাজবাড়ি। যদিও তার বহু অংশই বর্তমানে ভগ্ন দশার পড়ে আছে। গাড়ি থাকলে ঘুরে আসতে পারেন কনকদুর্গা মন্দির থেকে। আর যদি ওড়িশার দিকে যান, তবে দুয়ারসিনি পাহাড়টাও ঘুরে নিতে পারেন। একবারে অনেক কিছু দেখে মনে উজাড় করে ভালোলাগা নিয়ে বাড়ি ফিরে আসবেন।
হাতিবাড়ির গেলে সবচেয়ে রোমাঞ্চকর থাকার জায়গা হল হাতিবাড়ি বনদফতরের বন–বাংলো। জমিয়ে খাওয়াদাওয়াও সেখানেই করতে পারবেন। (শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ঘরের ভাড়া একদিনে ২৫০০ টাকা।)
আর দেরি নয়,মন ঠিক করে ব্যাগ গুছিয়ে চলুন হতিবাড়ি ।