দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার কয়েক দিনের জন্য একটু ঠান্ডা ঠান্ডা কুল কুল জায়গার সন্ধানে মানুষের প্রথমেই মনে পড়ে দার্জিলিংয়ের কথা। কিন্তু ওখানে এখন প্রচুর ভিড়। শরীর ও মন দুটোর শান্তির জন্য আমাদের আজকের বেড়ানোর জায়গা হলো পাহাড়ের উপর 'টংলু গ্রাম'।
আসলে দার্জিলিংয়ে মানেভঞ্জন থেকে সান্দাকফু যাওয়ার পথে পড়ে এই টংলু গ্রাম। পাহাড়ের ১০,১৩০ ফুট উচ্চতায় এই ছোট্ট গ্রাম। সান্দাকফু যাওয়ার পথে মূলত ট্রেকার্সরা এই গ্রামে রাতে থাকেন। ফের পরের দিন বেরিয়ে পড়া। আপনিও যেতে পারেন। তবে সঙ্গে বাচ্চা বা বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে এড়িয়ে যাওয়াটাই মঙ্গল। সমতলে যখন গরমকাল তখনও টংলুতে সোয়েটার পরতে হয়। এতটাই ঠান্ডা। বেশ অন্যরকম অনুভূতি হবে।
বর্তমানে এখানে যাতায়াতের এখন অনেকটাই সুবিধা হয়ে গিয়েছে। মেঘমা পর্যন্ত গাড়িতে আসা যায়। আর সেখান থেকে মোটামুটি ২ কিমি ট্রেক করে যেতে হয় টংলু। পরের গ্রামটা টুংলিং। সেটা আরও প্রায় ২ কিমি দূরে টুংলিং। অপূর্ব সুন্দর দুই গ্রাম। আর এই এপ্রিল মে তে যদি যান তবে তো রাস্তার দুদিকে রোডোডেনড্রন আপনাকে স্বাগত জানাবে। এক অপূর্ব মায়াবী জায়গা এই টুংলিং। কুয়াশায় মোড়া চারদিক। আর পাহাড় যদি দেখতে চান তবে টুংলিং আর টোংলুর বিকল্প হয় না। ভারত ও নেপাল সীমান্তবর্তী এই নিরিবিলি গ্রাম। একাধিক হোম স্টে ও লজ রয়েছে।শীতকালে তাপমাত্রা হিমাঙ্কের কাছাকাছি চলে যায়। টুংলিং থেকে সান্দাকফু মোটামুটি ১৯ কিমি। পাহাড়ের কোলে যেন দুই ভাইবোন টুংলিং আর টোংলু। আকাশ যদি পরিষ্কার থাকে আর ভাগ্য যদি সহায় থাকে তবে আপনি কাঞ্চনজঙ্ঘার দেখা পেতে পারেন। অনবদ্য অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরবেন।
যাওয়া - শিলিগুড়ি থেকে মিরিক হয়ে মানেভঞ্জনের দূরত্ব প্রায় ৭৫ কিমি। সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে চলে আসতে পারেন। দার্জিলিং থেকে ঘুম হয়ে মানেভঞ্জন পর্যন্ত দূরত্ব মোটামুটি ২৫ কিমি। এনজেপি থেকে সরাসরি গাড়ি ভাড়া করে আসতে পারেন এই দুই গ্রামে রাস্তা কিছুটা খাড়াই। বছরের বেশিরভাগ সময়ই কুয়াশা থাকে। তবে পাহাড়ে বেড়াতে যাওয়ার যে ভরপুর অনুভূতি সেটা বুঝতে পারবেন।
থাকা - এখন ওখানে প্রচুর নতুন নতুন হোমস্টে হয়েছে। স্বচ্ছন্দে বেরিয়ে পড়তে পারেন।