দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃসমস্ত ভারতেই ছড়িয়ে আছে অজস্র মঠ-মন্দির। তারই মধ্যে উত্তর বঙ্গের এই মন্দিরটি বেঁচে আছে মানুষের নানা পবিত্র বিশ্বাস নিয়ে। এখন ভক্তপ্রাণ মানুষের কাছে এই মন্দিরটি একটি পবিত্র বেড়ানোর জায়গা। শতাব্দী প্রাচীন এই শিব ঠাকুরের মন্দির আজও রক্ষা করে চলেছে পাহাড়ের এই অপরূপ সৌন্দর্যকে তথা গোটা গ্রামকে। শিলিগুড়ি থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার দুরে পাহাড়ের আঁকা বাঁকা পথ পেরিয়ে নদী ও পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত রয়েছে এক বহু প্রাচীন শিবের মন্দির, তবে এই মন্দিরে শুধু শিবের আরাধনা নয়, কালি থেকে বুদ্ধ প্রায় সকল দেব দেবীর পুজো অর্চনা হয়ে থাকে। প্রত্যেক মাসের বিশেষ পুজোর তিথিতে ও বিশেষ করে শিবরাত্রিতে এই মন্দিরে ভক্তদের ঢল নামে। তাছাড়া সারা বছর মানুষ যান এই মন্দিরে দেব-দর্শনে।
ভগবান শিবের নামে উৎসর্গ করা এই গন্তব্যটি এমন একটি জায়গা যা প্রকৃতির কোলে খুব ভালভাবে সংযুক্ত হওয়ার একটি নিখুঁত মিশ্রণ পেয়েছে তবে ঠিক বনের মধ্যে নয়। নদীর তীরে অবস্থিত এই মন্দিরটি এই স্থানে ভগবান শিবের দ্বারাই নির্মিত বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। শিবখোলা গ্রামটি মন্দির থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে একটি সবুজ উপত্যকায় অবস্থিত। ভগবান শিব এই গ্রামটিকে বহু যুগ ধরে রক্ষা করে আসছে বলে তাদের বিশ্বাস। এখানকার মানুষদের বিশ্বাস এই দেবতার তাদের গ্রামকে রক্ষা করে ছেলেছেন বছরের পর বছর ধরে।
প্রতি সোমবার করেই এই মন্দিরে পুজো হয়। ভক্তরা বহুদুর থেকে মহাদেবের দর্শন করতে এই মন্দিরে আসেন। তবে শিবখোলায় এসে শিব মন্দির দর্শনের পাশাপাশি বহু পরিযায়ী পাখির দর্শনও মেলে এখানে। মন্দিরের কাছেই হোমস্টে রয়েছে সেখানে থেকে রাত্রি বাসও করতে পারবেন আপনি। স্থানীয় রাজেন লামা জানান, “এই শিবের মন্দির ১০০ বছরেরও পুরনো। সঠিকভাবে কেউই এর বয়স আন্দাজ করতে পারবে না আমাদের বিশ্বাস ভগবান শিব নিজেই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিল। মহাদেব স্বয়ং এই গ্রাম ও গ্রামের মানুষদের রক্ষা করে আসছে।” শিবখোলা এই মন্দির ঘুরতে আসার জন্য অন্যতম সুন্দর একটি জায়গা পাশেই নদী রয়েছে আমরা সেখানে বসে আড্ডাও দিই মহাদেবের দর্শন ও হয় সুন্দর দিন কেটে যায় এখানে।