দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গরম ধীরে ধীরে আমাদের গ্রাস করছে। আরও মাস দুই অপেক্ষা করার পরে বর্ষা আসবে। এমন পরিবেশে বেড়ানোর নতুন ডেস্টিনেশন হোক 'সামালবং' গ্রাম - প্রকৃতি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছে এখানে। পাহাড়ের সহজ সরল মানুষ। সবুজে ভরা গ্রাম। মাথা উঁচু করে থাকা পাহাড়। এখান থেকেই শুরু হয়েছে ঘন জঙ্গল। নীচে দিয়ে অজস্র বাঁক নিয়ে বয়ে চলেছে রেলি নদী। বছরের সব সময়ই আসা যায় এখানে। তবে প্রথম বৃষ্টি যখন পড়বে তখন এলে মজাই আলাদা। এক অন্যরকম অনুভূতি। মানে ধরুন জুন মাসে আসতে পারেন। আবার অক্টোবরের পর থেকেও অন্যরকম ভালোলাগা। কালিংপং এর এই গ্রামের মনোরম পরিবেশে আপনি মুগ্ধ হবেন।
এই গ্রামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য নিচে নদী,চারিদিকে জঙ্গল,কৃষি খামার আর অনন্ত প্রসারিত প্রকৃতি। নির্জন নিরিবিলিতে দিন কয়েক কাটিয়েই দিতে পারেন এখানে। একাধিক ভিউ পয়েন্ট রয়েছে এখানে। সেখান থেকে মন ভরে পাহাড় দেখুন। পাহাড়ের এই গ্রামটা মূলত কৃষিপ্রধান। ধান, আদা, এলাচ, ভুট্টার চাষ হচ্ছে পাহাড়ের ঢালে। চারদিকে সবুজে সবুজ। এক অন্যরকম অনুভূতি হবে। এখান থেকে মন ভরে দেখুন কাঞ্চনজঙ্ঘার বিস্তৃত রেঞ্জ। সামালবংয়ের ভিউ পয়েন্টে চুপ করে বসে থাকুন। নীচ দিয়ে বয়ে যাচ্ছে রেলি নদী। একের পর এক বাঁক নিয়ে বয়ে চলেছে পাহাড়ি নদী রেলি। আর সামনে দিগন্ত বিস্তৃত পাহাড়। এক অপূর্ব মেলবন্ধন। এমন সৌন্দর্যের সমাহার যখন এক জায়গায়,তখন সামালবং হোক এ বারের ডেস্টিনেশন।
এখান থেকেই শুরু হয়েছে ঘন জঙ্গল। নীচে দিয়ে অজস্র বাঁক নিয়ে বয়ে চলেছে রেলি নদী। ভোর ভোর এসে বসে পড়ুন ভিউ পয়েন্টে। হোম স্টে থেকে কাছাকাছি এই ভিউ পয়েন্ট। এখান থেকেই দেখুন দূর পাহাড়ের নানান ছবি। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় পাহাড়ে গেলে রাতে দেখার কিছু থাকে না। তবে এখানে রাতেও ভিউ পয়েন্টে বসে থাকতে পারেন। তবে একটু সাবধানে। এখান থেকে দেখুন নেকলেশের মতো জ্বলছে পাহাড়ের আলো। ঠিক মনে হবে যেন পাহাড়ের রানী গলায় আলোর মালা পরেছেন।
যাওয়া - এনজেপিতে থেকে সরাসরি গাড়িতে ৭০ কিমি দূরে সামালবং। অনেকে শেয়ার গাড়িতে আসেন। এতে খরচ কম পড়ে। আবার কালিম্পং এসে সেখান থেকে শেয়ার গাড়িতে ২৭ কিমি দূরে সামালবং। ঘুরে আসতে পারেন গরমের ছুটিতে। বেশ ভালো লাগবে।
থাকা - বেশ কিছু হোমস্টে এখানে আছে আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য।