দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃগরমে নাভিশ্বাস এখন বঙ্গবাসীর। একটু শীতলতার সন্ধানে বাঙালি জায়গা খুঁজছে। কিন্তু দার্জিলিং তো এখন প্রবল ভিড়ের জায়গা। দার্জিলিংয়ের সমস্ত অনুভূতি পাবেন,সঙ্গে পাবেন অতিরিক্ত অনেক কিছু - এমন এক গ্রাম 'ছোট মাঙ্গোয়া' - ৩/৪ দিনের অনাবিল শান্তি ও শীতলতার জায়গা। মাঙ্গোয়ার তাপমাত্রা অনেকটাই মনোরম। দিনের বেলা হালকা গরম লাগছে। তবে ভোরবেলা, রাতে বেশ ঠান্ডার অনুভূতি। তবে দার্জিলিংয়ে তিল ধারনের জায়গা নেই। অনেকেই খুঁজছেন ছিমছাম, নির্জন পাহাড়ি গ্রাম। যেখানে সেই শহুরে ব্যস্ততা নেই। তেমনই পাহাড়ি গ্রাম ছোট মাঙ্গোয়া। মাঙ্গোয়া পাহাড়ের উপর ছবির মতো সুন্দর গ্রাম ছোট মাঙ্গোয়া। দার্জিলিংয়ের অন্যতম আনকোড়া অফবিট ডেস্টিনেশন। চোখ বুজে চলে যেতে পারেন এই সুন্দর গ্রামে। আপনার ঘোরা ব্যর্থ হবে না।
মাঙ্গোয়া পাহাড়ের চূ়ড়ায় ছোট্ট পাহাড়ি গ্রাম ছোট মাঙ্গোয়া।এককথায় কী কী দেখতে পাবেন এখানে? এখানে এলে আপনি চা বাগান, কাঞ্চনজঙ্ঘা, কমলালেবু বাগান, পাহাড়ি নদী, ফুলে ঢাকা রাস্তা, সবটাই পাবেন। আর পাবেন একরাশ নির্জনতা,অপার ভালো লাগা।
সিটং কমলালেবুর বাগানের জন্য বিখ্যাত। কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে এই গ্রামে এখন বাণিজ্যিকভাবে প্রচুর কমলা লেবু হচ্ছে। এখানেও রয়েছে কমলালেবুর বাগান। তিস্তা নদীতে অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসে নামার ইচ্ছা থাকলে এখানে আসতেই হবে আপনাকে।
তবে আপনি যদি রসে টুইটম্বুর কমলালেবুর বাগান দেখার জন্য এখানে আসতে চান তবে অক্টোবর আর ফেব্রুয়ারিতে আসাটাই ভালো হবে। তবে গরমের ছুটিতে এলেও মন্দ লাগবে না। অত্যন্ত সুন্দর এই গ্রাম।
প্রকৃতপক্ষে আমরা পাহাড়ে যাই আরো একটা কারণে তা হলো পাহাড়ি গ্রামকে দেখা। গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে দেখা। তাঁদের সহজ সরল মানসিকতাকে। বহু পর্যটক যখন কমলালেবু দেখার জন্য সিটং যান তখন আপনি চলে আসতে পারেন ছোট মাঙ্গোয়া, বড় মাঙ্গোয়াতে। এখানে ক্যাম্পিংয়েরও ব্যবস্থা রয়েছে। সেখানেও সময় কাটাতে পারেন। টেন্টে থাকতে মন্দ লাগবে না। মোটামুটি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকার মধ্যে পড়ে। এখান থেকে আপনি তাকদা, রামপুরিয়া, দাওয়াইপানি, পেশক, চটকপুরে ঘুরে আসতে পারেন।
যাওয়া - এন.জি.পি.থেকে এর দূরত্ব মাত্র ৭৫ কিমি। একটা ভাড়া গাড়ি নিয়ে চলে আসতে পারেন।
থাকা - এখন অনেক সুন্দর সুন্দর হোমস্টে ওখানে হয়েছে। অত্যন্ত অল্প খরচে ওরা আপনাদের আহ্বান জানাবে। খাওয়ার ব্যবস্থা ওখানেই পাবেন।