Travel

1 year ago

Average forest in Burdwan :কলকাতার অদূরেই মিলবে শান্তির ঠিকানা বর্ধমানে গড় জঙ্গল

Near Kolkata, you will find the peaceful address of Bardwan
Near Kolkata, you will find the peaceful address of Bardwan

 

 দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ  এই গরমে দার্জিলিং বা কালিংপং যেতে পারলে ভালো হয়,তবে অনেকটা ব্যয় সাপেক্ষ। তাই আমাদের এবারের ডেস্টিনেশন হোক ছায়া বহুল জঙ্গল - 'গড় জঙ্গল'। পশ্চিম বর্ধমােনর দুর্গাপুরের কাছেই রয়েছে গড় জঙ্গল। জঙ্গলে ঘেরা চারপাশ। দুর্গাপুর সাবডিভিশনের কাকাসা ব্লকের গড় জঙ্গলের আনাচে-কানাচে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস আর পূরনের ছাড়া। হিন্দু পুরনে গড় জঙ্গলের আলাদা একটা গুরুত্ব রয়েছে। এই গড় জঙ্গলের ভূমিরূপ দেখে এখােন আশ্রম তৈরি করেছিলেন সন্ন্যাসী মেধাস।

এই জঙ্গল নিয়ে আমাদের পুরান অনেক কথা বলছে। হিন্দু পুরানে কথিত আছে একদিন রাজা সুরথ ঘুরতে ঘুরতে এই গড় জঙ্গলে এসে হাজির হয়েছিলেন। এই মেধাসের আশ্রমেই বৈশ্য সমাধির সঙ্গে পরিচিত হন। সন্ন্যাসীর কল্যাণেই এই আশ্রমে তারা দেবী মহামায়ার মাহাত্ম্য জানতে পারেন। সন্ন্যাসী মেধার কাছ থেকে দেবীর মাহাত্ম্য সম্পর্কে জানার পারেন। সন্ন্যাসী মেধার কাছ থেকে দেবীর মাহাত্ম্য সম্পর্কে জানার পর রাজা সুরথ এখানেই দুর্গাপুজো করার সিদ্ধান্ত নেন। চণ্ডী এবং মার্কেন্ডেয় পুরানে এটাই বিশ্বের প্রথম দুর্গাপুজো। ফলে এখানেই আছে দুর্গা পূজার একটা ঐতিহ্য। এই জঙ্গলে দুর্গাপুজো করার পর এই জঙ্গলে ত্রিদেবীর মন্দির তৈরি করেছিলেন রাজাসুরথ। মহাকালী,মহাসরস্বতী এবং মহালক্ষ্মী। তার সঙ্গে মহাকাল ভৈরবের মন্দিরও রয়েছে এখানে। মোট ১৬টি মন্দির তৈরি করা হয়েছিল এই জঙ্গলে। এখন মাত্র ২টি মন্দির রয়েছে। সেগুলির অবস্থাও খুব একটা ভাল নেই। শ্যামারূপা মন্দির এবং শিব মন্দির এই দুটি মন্দির রয়ে গিয়েছে।

 যাওয়া - 

গড় জঙ্গলে যাওয়া এমন কিছু কঠিন নয়। ট্রেন বাসে দুইপথেই যাওয়া যায়। হাওড়া থেকে ট্রেন দুর্গাপুর স্টেশনে নেমে অথবা আসানসোল স্টেশনে নেমে গাড়িতে অনায়াসে পৌঁছে যাওয়া যায় এই গড় জঙ্গলে। আবার কেউ চাইল গাড়ি নিয়েও যেতে পারেন। কলকাতা শহর থেকে দুর্গাপুরের দূরত্ব ১৭৫ কিলোমিটার। আর আসানসোলের দূরত্ব ২১৩ কিলোমিটার। অসংখ্য এসি বাস ছাড়ে।

 থাকা - 

জঙ্গলের বাইরে একাধিক হোটেল থাকলেও জঙ্গলের ভেতরে দু'একটা আশ্রম-মন্দির আছে। সেখানেও থাকা যেতে পারে।

You might also like!