দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গরমে এক টুকরো শান্তির জন্য আমরা যাই পাহাড়ে। কিন্তু ইদানিং পাহাড়ের অফবিট জায়গার প্রতি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের ঝোঁক বেশি। সেই কারণেই আজকের 'ভ্রমণসাথী'র নিবেদন 'কোলাখাম' গ্রাম।
কোলাখাম ছোট্ট একটা পাহাড়ি গ্রাম। খুব বেশি বাড়ি ঘর নেই। তার মধ্যেই রয়েছে ছোট ছোট হোমস্টে। যেকোনও একটা বুক করে চলে আসুন। কোলাখাম থেকে একদিকে যেমন দেখা যায় সিকিম, সেরকমই দেখা যায় কালিম্পংকেও। সিকিমের একমাত্র বিমানবন্দরও দেখা যায় এই কোলাখাম থেকে। চারিদিকে অসংখ্য ফুলগাছ। এখানে থাকলে মেঘেদের সঙ্গে পাহাড়ের খেলা দেখা যায়।
কোলাখামের রাতের সৌন্দর্য দেখলে চোখ ধাঁধিয়ে যাবে। সূরে সিকিমকে দেখে মনে হয় একটা গয়নার বাক্স। তারমধ্যে হিরে মনি মানিক্য চক চক করছে। ধীরে ধীরে সূর্যের আলো কীভাবে পাহাড়ে পড়ছে ঘরের মধ্যে বসেই দেখা যায়। এত সুন্দর সুন্দর ফুল দেখা যায় এখানে যে মুগ্ধ হয়ে যাবেন। এখানে রডোডেনড্র ফুলও দেখা যায়। তার জন্য অবশ্য এই সময়টা সবচেয়ে ভাল। এমন অপূর্ব নিসর্গ আপনি আর পাবেন না।
এই গ্রাম হলো প্রকৃতির কোলে এক টুকরো স্বর্গ। এমন দৃশ্য সারা জীবন মানুষ ভুলতে পারবে না। কোলাখাম যেহেতু নেওড়া ভ্যালি ন্যশনাল পার্কের মধ্যে পড়ে। তাই এখানে জঙ্গলের অ্যাডভেঞ্চার করা যায়। আবার কপাল ভাল থাকলে রেড পান্ডার দর্শনও মিলতে পারে। কোলাখামের আরেকটি আকর্ষণ হল ছাঙ্গি ফলস। অদ্ভুত সুন্দর সেই ফলস। ছাঙ্গি ফলসে যাওয়ার পথটাই নতুন একটা অ্যাডভেঞ্চার বললে ভুল হবে না। অনেকেই জানেন কিন্তু যাননি কখনও। কালিম্পংয়ের কাছেই যে এমন একটি মনোরম জায়গা থাকতে পারে তা হয়তো আগে কেউ আন্দাজ করে উঠতে পারেননি। লাভা থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে কোলাখাম। অদ্ভুত সুন্দর তার প্রকৃতিক শোভা। কাঞ্জনজঙ্ঘা তো বটেই তার সঙ্গে হিমালয়ের ছোট ছোট বরফের পাহাড়ও এখান থেকে অনায়াসে দেখা যায়।
যাওয়া - প্রথমে আপনাকে যেতে হবে এনজিপি বা কালিংপং।তারপর অদূরেই আপনার ডেস্টিনেশন। একটা গাড়ি ভাড়া করে অল্প সময়ে পৌঁছ যাবেন কোলাখাম।
থাকা - প্রচুর হোমস্টে আছে আপনাকে স্বাগত জানানোর জন্য।