দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পর্যটন মানচিত্রে আলাদাই নজর কেড়েছে এই স্থান। এখানকার অভিনবত্ব হচ্ছে,প্রতি মুহূর্তে আপনার মনে হবে প্রতিটা বাঁক যেন একদম নতুন। ৫৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত পানবুদারা ভিউপয়েন্টের জন্য বিশেষ বিখ্যাত। এই জায়গা থেকেই কাঞ্চনজঙ্ঘার ৩৬০ ডিগ্রি ভিউ পাওয়া যায়। ওপরে কাঞ্চনজঙ্ঘা আর নীচে তিস্তা। দার্জিলিং অথবা গ্যাংটক থেকে ফেরার পথে ঘুরে আসতে পারেন এই স্থান। রাতের বেলা নিচে শিলিগুড়ি শহরকে আপনি চাক্ষুস করতে পারবেন। সব দিক বিবেচনা করে এই শৈলগ্রাম আপনাকে সাদরে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।
তিস্তা নদীর যে ভিউ আপনি এখন থেকে পাবেন,তা আর কোনো জায়গা থেকে পাবেন না। তিস্তা নদীর অনন্য সুন্দর রূপের সাক্ষী থাকতে পর্যটকরা ভিড় জমান পানবুদারায়। এখানে একই ফ্রেমে ধরা পড়বে সেভকের রেল ব্রিজ আর ঐতিহ্যশালী করোনেশন ব্রিজ। এই পানবুদারা থেকে কাছেই রয়েছে ইয়ামাখুম। এছাড়াও, আপনি চাইলে এখান থেকে সামথারা, চারখোল, সিঞ্জিদারা, ঝান্ডিদারা, ডেলো, দুরপিন ঘুরে আসতে পারেন। শহরের কোলাহলে থেকে একদম নতুন নৈঃশব্দের জগতে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন।
যাওয়া - ট্রেনে করে শিলিগুড়ি বা এনজেপিতে আপনাকে নামতে হবে। শিলিগুড়ি থেকে রম্ভিবাজার হয়ে পানবুদারাতে আসা যায়। দূরত্ব প্রায় ৭৩ কিমি। এছাড়া, অনুমতি নিয়ে কালীঝোরা হয়ে পানবুদারা যেতে গেলে দূরত্বও কিছুটা কমবে। সেই রুটে অসাধারণ প্রাকৃতিক রূপও দেখতে পাবেন।
থাকা - পানবুদারায় থাকা খাওয়ার যথেষ্ট ভালো ব্যবস্থা রয়েছে। পানবুদারাতে অনেক গুলি ছোট হোমস্টে ও রিসর্ট আছে। বছরের যেকোন সময় সেখানে গিয়ে থাকার পাশাপাশি পানবুদারায় ক্যাম্পিংয়ের বন্দোবস্ত আছে। ১০০০-২০০০ টাকার মধ্যে থাকা ও খাওয়া সমেত মাথাপিছু পেয়ে যাবেন।
আর চিন্তা না করে ব্যাগ গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।