দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এই বর্ষায় মন ঘুরতে চায়। কিন্তু কোথায় যাবেন? চারিদিকে জল আর কাদা। এমন পরিবেশেই আদর্শ ঘোরার জায়গা আইজল শহর। নামে শহর হলেও আইজলকে বরং পাহাড়ি গ্রাম বললে বেশি ভালো হয়। সরকারি দফতর, স্কুল কলেজ থাকায় সেটি খাতায় কলমে শহর। তবে জলপ্রপাত, হ্রদ, পর্বত, পাহাড়ি রাস্তা সব মিলিয়ে এটি শৈল শহর বা পাহাড়ি গ্রাম। উত্তর-পূর্বের অন্যতম সেরা হানিমুন ডেস্টিনেশন হিসেবেও আইজলের খ্যাতি আছে। বর্ষার এখানকার সৌন্দর্য ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
* মিজোরামে রয়েছে চারটি বড় হ্রদ। যার মধ্যে তৃতীয়টি হল রুংডিল লেক। প্রধান শহর আইজল থেকে খানিকটা দূরত্বে অবস্থিত এই হ্রদটি অত্যন্ত আকর্ষণীয় একটি স্থান। মিজোরাম বা আইজলে বেড়াতে গিয়ে এই লেকটি যেন মিস করবেন না। লেকটিকে ঘিরে রয়েছে ঝাঁকে ঝাঁকে চিরহরিৎ বৃক্ষ। আর এই কারণেই এই স্থানটি আরও সুন্দর হয়ে উঠেছে। এই লেকে বোটিং-এর ব্যবস্থা রয়েছে। একইভাবে, দেখে নিতে পারেন বাকি চারটি হ্রদ, পালক টিপো লেক, তমদিল লেক এবং চৌথ রেংডিল লেক।
* আইজলের রুংডিল হ্রদ পরিদর্শন করার পরে, সোজা চলে যেতে পারেন রিক পিক-এ। আইজলের সবচেয়ে সুন্দর স্থানগুলির মধ্যে অন্যতম এই স্থানটি। এখানে বসে থেকে আইজল শহরের অর্ধেকেরও বেশি অংশ চোখের দেখা দেখে ফেলতে পারবেন। এই পর্বত শৃঙ্গের উপর দিয়ে বয়ে যায় শীতল বাতাস।
* সলোমন মন্দির হল আইজলের একটি ধর্মীয় স্থান। মন্দিরটি রয়েছে শহরের সমতলভূমিতে। পাহাড়ের মাঝখানে সমতল ভূমিতে মার্বেল দিয়ে তৈরি এই মন্দিরটি অত্যন্ত দৃষ্টিনন্দন। মন্দির দর্শনের পাশাপাশি প্রকৃতি দর্শনও হয়ে যাবে।
* প্রাকৃতিক দর্শনীয় স্থান এবং সুন্দর মনোরম স্থান পরিদর্শন ছাড়াও দেখে নিতে পারেন মিজোরাম সংগ্রহশালা। মিজোরাম এবং আইজলের ইতিহাস জানতে চাইলে এই স্থানটিতে যেতেই হবে। এখানে আইজলের সমৃদ্ধ সংস্কৃতিকে কাছ থেকে জানার ও দেখার সুযোগ পাবেন।