দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ দক্ষিণ বঙ্গে জঙ্গল বলতে আমরা সুন্দরবন বুঝি। কিন্তু সুন্দরবন থেকে অনেক দূরে আরেকটি বিশাল অরণ্যের দেখা পাব। যার নাম বৈকুণ্ঠপুর।
ভৌগোলিকভাবে তরাই জঙ্গলের একটি অংশ বৈকুণ্ঠপুর। ডুয়ার্সের কিছুটা পশ্চিম ভাগ, হিমালয়ের পাদদেশের কিছুটা দক্ষিণ ভাগ নিয়ে মহানন্দা এবং তিস্তা নদীর
মাঝখানে এই অরণ্যের অবস্থান। খানিকটা দার্জিলিং এবং খানিকটা জলপাইগুড়ি জেলায় বিস্তৃত। কাছের গুরুত্বপূর্ণ শহরের মধ্যে আছে শিলিগুড়ি এবং জলপাইগুড়ি। বৈকুণ্ঠপুরের জঙ্গল এক সময় ছিল কোচবিহারের রাইকট রাজপুত্রদের ঘাঁটি। স্থানীয় লোকের বিশ্বাস, এখানে মহাভারতের যুগে আশ্রয় নিয়েছিলেন স্বয়ং কৃষ্ণ। যে কারণে ইসকনের এক বড়োসড়ো কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে শিলিগুড়িতে।
আরেকটি কারণে এই জঙ্গল বিখ্যাত। বঙ্কিমচন্দ্রের উপন্যাসের মাধ্যমে বাঙালি জেনেছে দেবী চৌধুরানি এবং ভবানী পাঠকের নাম। সন্ন্যাসী-ফকির বিদ্রোহের সময় তাঁরা এখানে থাকতেন। জলপাইগুড়ি শহরের বাইরে আজও দেখতে পাবেন দেবী চৌধুরানির মন্দির। ভবানী পাঠক এবং প্রফুল্ল যুদ্ধে যাওয়ার আগে মন্দিরে কালীপুজো করতেন। তিস্তা নদীর জলে দাপিয়ে বেড়াত তাঁদের বজরা। বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের ক্ষেত্রেও উল্লেখযোগ্য নাম বৈকুণ্ঠপুর। বিশেষ করে প্রচুর বুনো হাতির বাস। বনের কিছু অংশে মানুষের বসবাসের কারণে পশুপাখিদের জীবনযাপন ব্যাহত হয়েছে ঠিকই, আবার কিছু অংশে নির্বিঘ্নেই থাকে জীবজন্তুরা। যেমন মহানন্দা অভয়ারণ্য।
এত কিছুর পরেও বৈকুণ্ঠপুর অরণ্যের আদিম সৌন্দর্য থেকে চোখ ফেরানো যায় না। প্রাণী এবং উদ্ভিদের বৈচিত্র্যও মুগ্ধ করে। শিলিগুড়ি থেকে সড়কপথে মহানন্দা অভয়ারণ্যে পৌঁছনো যায় মাত্র ৩০ মিনিটে। অভয়ারণ্যের প্রবেশদ্বার সুকনার দূরত্ব শিলিগুড়ি থেকে ১৩ কিলোমিটার এবং বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে ২৮ কিলোমিটার। সংরক্ষিত বনের প্রায় ১৫৯ বর্গ কিলোমিটার নিয়ে তৈরি হয়েছে অভয়ারণ্য। ১৯৫৫ সালে ক্রীড়া অভয়ারণ্য হিসেবে শুরু হওয়ার পর ১৯৫৯ সালে পরিপূর্ণ অভয়ারণ্যের মর্যাদা পায়। উদ্দেশ্য ছিল ভারতীয় বাইসন এবং রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারকে সংরক্ষণ করা।
গজলডোবায় পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগমের নিজস্ব ভোরের আলো ট্যুরিজম প্রপার্টির এসি কটেজে পরিবার কিংবা বন্ধুদের নিয়ে থাকতে পারেন স্বচ্ছন্দে। বুকিং এবং অন্যান্য তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন –
West Bengal Tourism Development Corporation Ltd
DG Block, Sector-II, Salt Lake
Kolkata 700091
Phone: (033) 2358 5189, Fax: 2359 8292