দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গত ৪ অক্টোবর তিস্তার হড়পা বানে সিকিম বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।মৃত্যু হয় প্রচুর মানুষের, উত্তর সিকিমের বিস্তীর্ণ অঞ্চল একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। রাজ্যের অন্য অংশের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে এই অংশটির। বন্ধ হয়ে যায় পর্যটন। অবশেষে দেড় মাস পড় ফের উত্তর সিকিম জুড়ে গেল রাজ্যের অবশিষ্ট অংশের সঙ্গে।
সূত্রের খবর, প্রায় দেড় মাসের মাথায় চুংথাং দিয়ে উত্তর সিকিমের সঙ্গে বাকি রাজ্য বেলি সেতু দিয়ে জুড়তে চলেছে। মাসখানেকের রাতদিন চেষ্টার পরে সেনাবাহিনী ও ‘বর্ডার রোড অর্গানাইজ়েশন’ তৈরি করেছে বেইলি সেতুটি। মঙ্গলবার সেতুটি খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যায় তা খোলা যায়নি। তবে চলতি সপ্তাহে রাস্তা খুললেও, পর্যটকদের ছাড়পত্র মিলবে আরও ক’দিন পরেই। বেইলি সেতুটি চুংথাং ও পেগং-কে জুড়েছে। সেতুটি বৃহস্পতিবার উদ্বোধন করে খুলে দেওয়া হয়েছে।
গ্যাংটক থেকে মঙ্গন হয়ে টুং যেতে হত। সেখান থেকে চুংথাং ঢুকতে হয়। টুং থেকেই উত্তর সিকিমের পারমিট দেওয়া হয়। এই রাস্তাটি আপাতত বন্ধ হয়ে রয়েছে। বদলে গ্যাংটক থেকে মঙ্গন হয়ে সংকলন অবধি রাস্তা প্রথমে খোলা হয়। মঙ্গন এবং সংকলনের মাঝেও সেতু তৈরি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে জঙ্গু যেতে হয়। এ বার সংকলন থেকে পেগং হয়ে চুংথাং পৌঁছনো যাবে। সেখান থেকে দু’দিকের আলাদা রাস্তায় লাচুং ও লাচেন জুড়বে।
লাচুংয়ের রাস্তা চালু হলেও। লাচেন বড়দিনের মরসুমের আগে খুলবে কি না ঠিক নেই। বিপর্যস্ত উত্তর সিকিমে শীতের মরশুমে বেশি পর্যটক আসবেন না ধরে নিয়ে ধাপে ধাপে কাজ চলছে। তাই স্থানীয়দের জন্য চুংথাংয়ের সেতু দিয়ে প্রথমে ছোট গাড়ি, মোটরবাইক চলবে। বড় গাড়ি নিয়ন্ত্রিত থাকবে।রাস্তা, সেতু ধাপে ধাপে খুললে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবার পাশাপাশি পর্যটকেরাও ভিড় জমাবে বলেই মনে করা হয়।