দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ এখনো অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হয় নি এই চিলাপোতা সেলফি পয়েন্টের। তবে পর্যটকেরা ভিড় করা শুরু করেছেন। চিলাপাতার জঙ্গলের একটা বড় ইতিহাস রয়েছে। এই জঙ্গলকে বলা হয়ে থাকে কোচ রাজাদের মৃগয়াক্ষেত্র। এখানে তাঁরা শিকার করতে আসতেন। কোচ রাজার সেনাপতি ছিলেন চিলা রায়। তিনি চিলের মতো ছোঁ মেরে শত্রু নিধন করতে পারতেন। তাঁর নামেই এই অরণ্যের নাম রাখা হয়েছিল চিলাপাতা। ডুয়ার্সের যত জঙ্গল রয়েছে তার মধ্যে চিলাপাতাকে সবচেয়ে গভীর জঙ্গল বললে ভুল হবে না। এই জঙ্গলে পর্যটকদের ভিড়ও খুব বেশি হয় না। সেই কারণেই হয়তো জঙ্গলের মধ্যে শান্তি অনুভূত হয়। পর্যটকদের টানার জন্যই এবার আকর্ষণের নতুন কেন্দ্রবিন্দু হতে চলেছে চিলাপাতা সেলফি পয়েন্ট।
চিলাপাতা মোড় থেকে পশ্চিমদিকে বানিয়া বস্তি যেতে বাঁদিকে শালবাগানে গড়ে তোলা হয়েছে এই সেলফি পয়েন্ট। লেখা রয়েছে ‘আই লাভ চিলাপাতা’। আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের তরফে বন দফতরের জমিতে এই সেলফি পয়েন্টে তৈরি করা হয়েছে। এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে বলেন, "অনেকদিন ধরেই এটি ভাবনার পর্যায়ে ছিল। শেষ পর্যন্ত তৈরি করা হল।উদ্বোধন হয়নি এখনও, তাতেই যে পর্যটক ও স্থানীয়রা এটিকে উপভোগ করছেন, দেখে ভালো লাগছে।
রেঞ্জ অফিস থেকে পারমিট করিয়ে তবে এই জঙ্গলে প্রবেশ করা যায়। সকাল ৫টা থেকে চলে জঙ্গল সাফারি। বিকেল ৫টায় শেষ সাফারি। কোচ রাজাদের গড়ের ভগ্নাবশেষেরও দেখা মেলে সেখানে। গণ্ডার, হাতি, গাউরের মত একাধিক জন্তুর দেখা মেলে। এছাড়াও হরিণ ও বাইসনের দেখা পাওয়া যায় অহরহ। তাই ২/৩ দিনের জন্য ঘুরে আসুন চিলাপোতা অরণ্য।