দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ৮ থেকে ৮০ সকলের জন্যই এই সমুদ্রসৈকত অসাধারণ হলেও বিশেষকরও মধুচন্দ্রিমার জন্যই যেন গড়ে উঠেছে এই রোমান্টিক সমুদ্রসৈকত। ভারতের ভ্রমণ পিপাসুদের অন্যতম পছন্দের জায়গা কেরালা। এক কথায় হাতের তুলিতে যেন আঁকা একটি ক্যানভাস এই রাজ্যের প্রতিটি কোনা। কেরালার বিখ্যাত আন্ধাকারনাঝি সমুদ্র সৈকত।
যা দেখার জন্য এখানে মানুষ বেড়াতে যায়,তাহলো -
** সমুদ্র, তার বিস্তীর্ণ জলরাশি এই স্থানের প্রধানম আকর্ষণ। সৈকত সম্পূর্ণ দূষণ মুক্ত। এখানে প্লাস্টিক ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ আছে। তাই সেখানে গেলে কোনো রকম পরিবেশ দূষণ করবেন না।
** সূর্য অস্ত যাওয়ার সময় অবশ্যই সেখানের সৌন্দর্য বেড়ে ওঠে আরও কয়েক গুন। ঢেউয়ের স্রোতের সাথে স্নান করার মজাই আলাদা।
** মানক্কোদম শ্রী মহাদেবী খন্দকর্ণ মন্দির, সেন্ট ফ্রান্সিস চার্চ এই এলাকার প্রধান খ্রিস্টান গির্জা এবং আলাপ্পুঝা ডায়োসিসের প্রাচীনতম গির্জাগুলির মধ্যে একটি যা ঘুরে দেখবেন।
** সুব্রামন্য মন্দির, কাণ্ডকারনা মন্দির, ভিয়াথারা ত্রিমূর্তি মন্দির অন্যতম যেখানে গিয়ে মাথা ঠুকে আসতে পারেন।
অন্য যে কোনো সময় যেতে পারলেও কেরালা যাওয়ার উপযুক্ত সময় সেপ্টেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত।
যাওয়া - হাওড়া থেকে দক্ষিনের দিকে বিভিন্ন ট্রেন চলাচল করে। সেখানেই আলাপ্পুঝা স্টেশনে নামতে হবে। তবে তিরুবনন্তপুরম কিংবা কোচি স্টেশনেও নামতে পারেন। আলাপ্পুঝা স্টেশন থেকে মাত্র ৩১ কিমি ও তিরুবনন্তপুরম কিংবা কোচি স্টেশন থেকে ১৮৭ ও ৩২ কিমি দূরে অবস্থিত আন্ধাকারনাঝি সমুদ্র সৈকত। নিকটতম বিমান বন্দর তিরুবনন্তপুরম। সেখান থেকে ২০০ কিমি পথ আপনাকে গাড়ি করে আসতে হবে।
থাকা - সমুদ্র সৈকতের পাশেই অনেক হোটেল, রিসর্ট আছে৷ নিজের সাধ ও সাধ্যের মধ্যে কোনও একটি বেছে নিতে অসুবিধে হবে না৷ তবে চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে আগেই বুকিং করে যেতে পারেন।