দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ কোলকাতা হলো ভারতের অন্যতম সর্ব ধর্মের সমন্বয়ের শহর। শহর কলকাতা জুড়েই রয়েছে অসখ্য বেড়ানোর জায়গা। আমরা সেসব জায়গার কথা অনেকেই জানিনা। জানেন কি কলকাতা শহরের মধ্যে রয়েছে মিনি দক্ষিণ ভারত। অনেকেই শুনে অবাক হবে। কিন্তু সত্যিই রয়েছে। কলকাতা শহর জুড়ে বৈচিত্রের শেষ নেই। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের একটা জায়গা এই কলকাতা। এই কলকাতাই যেমন রয়েছে জৈন মন্দির, বড় বড় চার্চ। তেমন রয়েছ দক্ষিণ ভারতের মন্দির। একেবারে দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্য শৈলিতেই তৈরি করা হয়েছে এই মন্দির। অপূর্ব তার পাথরের কাজ।
উত্তর কলকাতার একেবারে প্রাণ কেন্দ্র গিরিশ পার্ক। সেখানেই রয়েছে বৈকুণ্ঠ নাথ মন্দির। গরিশ পার্ক মেট্রো স্টেশনে নেমে যেতে হবে বিবেকান্দ রোডের দিকে। বিবেকানন্দ রোডের পরেই রয়েছে কালীকৃষ্ণ রোড। সেখানেই রয়েছে বৈকুণ্ঠনাথ মন্দির। সেখানে গেলে মনে হবে দক্ষিণ ভারতের কোথাও পৌঁছে গিয়েছেন। মধ্য কলকাতার জোড়াসাঁকোর কাছেই রয়েছে। মন্দিরটি তৈরি হয়েছিল ১৯৬০ সালে। একেবারে দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্য শৈলীতে তৈরি মন্দিরটি। মন্দিরের তোরন। ভেতরে চাতালের মধ্যে রয়েছে একটি স্তম্ভ। সবটাই অবিকল দক্ষিণ ভারতীয় মন্দিরের আদলেই তৈরি হয়েছে। মহারাজা প্রয়াগ নারায়ণ তিওয়ারি। মন্দিরের তোরণে রামায়ণ মহাভারতের পৌরাণিক কাহিনী পাথরে খোদাই করে তৈরি করা হয়েছে। পুরো মন্দিরটি তৈরি হয়েছে শ্বেত পাথরের। মন্দিরের চাতালের মধ্যেই রয়েছে নবগ্রহ। দক্ষিণ ভারতীয় স্থাপত্য শৈলি মেনেই অসংখ্য পিলার। এই মন্দিরের সব পুরোহিতই এসেছেন দক্ষিণ ভারত থেকে। মন্দিরের ভেতরের বিগ্রহগুলি দক্ষিণভারতীয় শৈলিতেই তৈরি। সকাল ৬টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত খোলা থাকে মন্দিরের দরজা। তারপরে আবার বিকেল ৪টে থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ধর্মপ্রাণ মানুষেরা মনের শান্তির জন্য ওই মন্দিরে গিয়ে ধ্যান করেন। এক বেলার জন্য বেরিয়ে ঘুরে আসুন ওই অনুপম মন্দিরে।