Life Style News

1 year ago

Travel Story : জমিদার বাড়িতে থাকার অভিজ্ঞতা নিতে চলুন বর্ধমান জমিদার বাড়িতে

Amadpur Rajbari
Amadpur Rajbari

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ  সামন্ততন্ত্রের অবসান ঘটেছে বহু বছর। তবুও গল্পে পড়া জমিদার বাড়ি সম্পর্কে আমাদের সকলেরই একটা কৌতুহল আছেই। সেই স্বাদ পূরণ করার বাসনা নিয়েও দিন দুয়ের জন্য চলুন জমিদার বাড়ির রাজসিক পরিবেশে। বিশাল সে সব অট্টালিকার আনাচ-কানাচে এখনও লেগে আছে ইতিহাসের গন্ধ। বর্তমানে সংরক্ষন ও পর্যটনের জন্য সেই সব বাড়ির অনেকগুলিকেই সাজিয়ে তোলা হয়েছে নতুন সাজে। তেমনই একটি ‘জমিদার বাড়ি’ রয়েছে বর্ধমানের মেমারির অনতি দূরে আমাদপুর গ্রামে। শোনা যায়, আজ থেকে প্রায় চারশো বছর আগে বর্ধমানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলের জমিদারি পায় এই পরিবার। জমিদারি ‘প্রথা’ অবলুপ্ত হওয়ার পর উত্তরসূরিরা বাড়ির একটি অংশ সংস্কার করে তা খুলে দিয়েছেন পর্যটকদের জন‌্য। এখন প্রায় প্রতি শীতেই পর্যটকদের আনাগোনা দেলহা যায় এই জমিদার বাড়ির অলিন্দ জুড়ে। 

ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, অন্তত ৪০০ বছরের পুরনো ওই জমিদার বাড়ি। একসময় ওরাই ছিল বর্ধমানের প্রধান জমিদার। পুরনো বাড়িটির বিশাল সব ঘর, মেহগনি কাঠের আসবাব, ঝাড়বাতি, জমিদারি বৈঠকখানায় সাজিয়ে রাখা ছবি মিলিয়ে পর্যটকরা পেতে পারেন ইতিহাসের এক অদ্ভুত অনুভূতি। সঙ্গে রয়েছে সবুজ বন, দিঘি। আর পাঁচটি আটপৌঢ়ে গ্রামের থেকে আমাদপুর অনেকটাই আলাদা। হলদে পাকা ধানি জমি, দিঘির পাড়, মন্দির এই নিয়ে আমাদপুর যেন গল্পের বইয়ের পাতা থেকে উঠে আসা এক গ্রাম। মনোরম পরিবেশের সঙ্গে রয়েছে টেরাকোটার কাজ সমৃদ্ধ মন্দির। এ ছাড়াও, প্রাচীন নিশংক আশ্রম, বটতলা, বাঘবাড়ি, আদিবাসী পাড়া— ঘুরে দেখার জায়গার অভাব নেই। আমাদপুরে দেবী কালীর থানও বেশ বিখ্যাত। বেশ মনের আনন্দে ঘুরে বেড়ান গ্রামের অনুপম পরিবেশে।

যাওয়া -- সড়কপথ বা ট্রেনে সহজেই পৌঁছে যাবেন আমদপুর। কলকাতা থেকে আমাদপুরের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটারের মতো। সড়ক পথে যেতে গেলে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমানের মেমারি যেতে হবে। সেখান থেকে আমাদপুর মাত্র ৩ কিলোমিটার। কলকাতা থেকে গাড়িতে চাপলে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে পৌঁছে যাওয়া যায়। ট্রেনে যেতে চাইলে নামতে হবে মেমারি স্টেশনে। সেখান থেকে ছোট গাড়িতে আমাদপুর। আমদপুর হয়ে উঠবে আপনার শীতের নিশানা।

থাকা - আমাদপুর রাজবাড়িটিকেই নতুন করে সাজিয়ে তোলা হয়েছে পর্যটকদের জন্য। রাজবাড়িতে রাত্রিবাস ও খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে আগে থেকে বুক করে যাওয়াই ভাল।

You might also like!