kolkata

3 hours ago

Bengal BJP: প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে সংগঠনের পদ ছাড়তে নারাজ অনেকেই—অমিত শাহের সফরের আগে উত্তপ্ত বঙ্গ বিজেপি!

Amit Shah
Amit Shah

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: চলতি মাসেই মহালয়ার পরদিন কলকাতায় দুর্গাপুজোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁর সফরের আগেই বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটি ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য খুব শীঘ্রই তাঁর নতুন টিমের সদস্যদের নাম প্রকাশ করতে  পারেন। দলীয় সূত্রে খবর, অমিত শাহের পুজো উদ্বোধনের ঝটিকা সফরের মধ্যেই বঙ্গ বিজেপির নতুন রাজ্য কমিটির সঙ্গে একটি সংক্ষিপ্ত বৈঠকের আয়োজন করার চেষ্টা চালাচ্ছে রাজ্য নেতৃত্ব। কে থাকছেন, আর কারা বাদ পড়ছেন—তা নিয়ে ইতিমধ্যেই দলে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। বর্তমান রাজ্য কমিটির একাধিক  পদাধিকারী তাঁদের পদ বজায় রাখতে কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে আলাদা করে দেখা করেছেন বলেও সূত্রের খবর। 

সূত্রের খবর, মহালয়ার আগেই রাজ্য বিজেপির নতুন টিম ঘোষণা করে দেবেন শমীক। আর সেই টিমের সভাপতির পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদ সাধারণ সম্পাদক। সেই সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে তিনজনকে বাদ দেওয়া হচ্ছে বলে শেষ মুহূর্তের খবর। বর্তমানে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায়,  জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, দীপক বর্মন, অগ্নিমিত্রা পাল এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। শেষ মুহূর্তে যদি কোনও সিদ্ধান্ত বদল না হয় তাহলে এই পাঁচজনের মধ্যে তিন জন নতুন কমিটি থেকে বাদ পড়তে পারেন। অন্যদিকে, সহ-সভাপতি এবং সম্পাদক পদ থেকেও একাধিক নাম বাদ পড়তে চলেছে। নতুন কমিটিতে ঢুকতে চলেছেন  বহু পুরনো নেতা। তবে রাজ্য কমিটি ঘোষণার আগে অবশ্য আরেকটি বিষয় নিয়েও চিন্তায় পড়েছেন বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। 

সূত্রের খবর, দলের একটা বড় অংশের নেতৃত্ব সংগঠনের পদ পাওয়ার থেকে ভোটে লড়তে আগ্রহী বেশি। অনেকে আবার চাইছেন সংগঠনে থাকলেও তাঁদের ভোটে লড়তে দেওয়া হোক। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঠিক করেছে যে, যাঁরা ভোটে লড়বেন তাঁদের কোনও সাংগঠনিক পদ দেওয়া হবে না। ফলে এই বিষয়টা নিয়ে  দ্বিধাবিভক্ত গেরুয়া শিবির। তাই এই জটিলতায় নয়া রাজ্য কমিটি ঘোষণার ক্ষেত্রে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে খবর। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—সংগঠনের পদে যাঁরা থাকবেন, তাঁদের নির্বাচনে প্রার্থী করা হবে না। আবার যাঁরা বিধানসভা ভোটে টিকিট পাচ্ছেন, তাঁদের কোনও সংগঠনিক দায়িত্বে রাখা হবে  না। এই নীতিতে রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যও সম্মতি জানিয়েছেন। যদিও দলের একাংশের নেতারা এখনও চাইছেন—তাঁরা যেন সংগঠনের পদও ধরে রাখতে পারেন এবং ভোটে টিকিটও পান। এতে অস্বস্তি বাড়ছে রাজ্য নেতৃত্বের অন্দরেও। 

You might also like!