দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রশাসনিক বৈঠক থেকে পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে পষ্টাপষ্টি হুঁশিয়ারিও দিলেন তাঁদের। মুখ্যমন্ত্রীর অসন্তোষের কারণ দুটি। এক, রাতের বেলায় ওভারলো়ড ট্রাক থেকে টাকা তুলছে পুলিশের একাংশ। একটা কোড ব্যবহার করা হচ্ছে। তার পর সেই টাকা চলে যাচ্ছে কাঁথিতে। নবান্ন সূত্রে খবর রাজ্য পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “ওভারলোডেড ট্রাকের থেকে পুলিশ টাকা তুলছে। সেই টাকা সরাসরি চলে যাচ্ছে কাঁথিতে। রাজ্য প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে তথ্য রয়েছে। প্রয়োজনে এই সবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে সরকার।”
মঙ্গলবার প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি আবারও আঙুল তুলেছেন নন্দীগ্রাম বিধায়কের বিরুদ্ধে।সন্দেশখালি নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর রোষানলে পড়েছে রাজ্য পুলিশের একাংশ। লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে বারংবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছে বসিরহাটের সন্দেশখালি। নারী নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সেখানে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। পাল্টা স্টিং অপারেশনের ভিডিয়ো এনে সেই পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছিল রাজ্যের শাসকদল। নবান্ন সূত্রে খবর, মঙ্গলবারের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, সন্দেশখালিতে এত কিছু ঘটল, সরকারের বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত হল, তার আগাম কোনও আঁচ গোয়েন্দা রিপোর্টে সরকারের কাছে আসেনি। পুলিশ প্রশাসনের এ হেন নিষ্ক্রিয়তা ভাল ভাবে যে দেখছেন না মুখ্যমন্ত্রী, তা স্পষ্ট হয়েছে বৈঠকে। এই বৈঠক সম্পর্কে রাজ্য সরকার, পুলিশ বা সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর তরফে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বৈঠকে আলোচনা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার কারণে আটকে থাকা আবাসের বকেয়া টাকা প্রসঙ্গও। মমতার অভিযোগ, দীর্ঘ দিন ধরে কেন্দ্রীয় সরকার আবাস যোজনার টাকা দিচ্ছে না রাজ্যকে। ফলে রাজ্যের গরিব মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আগামী ডিসেম্বর মাস থেকে সেই প্রকল্প শুরু হতে পারে এমন একটা ইঙ্গিতও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা আবাস প্রকল্পের জন্য নতুন করে সমীক্ষা করার কথা জানিয়েছেন এই বৈঠকে। প্রশাসনিক বৈঠকে ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যানের প্রসঙ্গও আলোচিত হয়েছে। নবান্ন সূত্রে খবর, ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে যেন কোনও গাফিলতি না হয় সেই নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।