কলকাতা, ২৩ মে: জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার ৪ দিন বাদেও মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় গ্রেফতার হননি। উল্টে অভিযুক্তর তরফে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর করা হয়েছে মিশনের এক মহারাজের নামে, যিনি বেশ কিছুকাল ধরে রয়েছেন উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে। এই ঘটনায় সরব হয়েছেন নেটনাগরিকদের একাংশ।
একটি সংবাদ মাধ্যমে এই খবর পোস্ট করার প্রথম ৩৫ মিনিটের মধ্যে, সকাল ৮টায় ৫৬টি মন্তব্য এসেছে। প্রায় প্রতিটিতেই সমালোচিত হয়েছে তৃণমূল। প্রসেনজিৎ মল্লিক লিখেছেন, “পুলিশের ভূমিকা জঘন্য।” অরুণ কুমার চক্রবর্তী লিখেছেন, “রাজ্য, দেশ, মানবিকতা, হিন্দু ধর্ম সব কিছুর জন্য অশনি সংকেত।” অঞ্জন দত্ত লিখেছেন, “ধর্মকে রাজনীতি বানিয়ে ফেলেছে তৃণমূল।”
সুমন কর্মকার লিখেছেন, “এফআইআর কপিটা দেখুন। ওখানে জমির সব ডিটেইলস দেওয়া আছে। হাইকোর্টের রায়ও আছে।” বঙ্কুবিহারি সরকার লিখেছেন, “ভাবতেই কষ্ট লাগে কোন অরাজকতার বাংলায় বাস করছি!” অনাথবন্ধু অধিকারী লিখেছেন, “এরা এতো সাহস পাচ্ছে কোথা থেকে?” জবাবে অনুপ পাল লিখেছেন, “হাওয়াই চটি থেকে”।
সুশান্ত বণিক লিখেছেন, “এগিয়ে বাংলা, বাংলাদেশের দিকে।” রুশো চক্রবর্তী লিখেছেন, “আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গ সম্পূর্ণ ইসলাম শাসিত হয়ে যাচ্ছে।” রাজ মুর্মু লিখেছেন, “একজন মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের খপ্পরে পড়ে কোনদিন পুরো রাজ্যটাই ভারত থেকে বাতিল হয়ে যাবে মনে হচ্ছে। ”
অরুণাভ চট্টরাজ লিখেছেন, “এরা ভুল জায়গায় খাপ খুলেছে সব জায়গায় রাজনৈতিক বুদ্ধি কাজে লাগে না। এই অভদ্র মহিলা সব সীমা ক্রস করে গেল এর বিনাশ একটা যুগ মনে রাখবে।” সন্তোষ কুমার ঝা লিখেছেন, “নির্লজ্জ বেহায়া বাংলা সরকার”।
যে স্বামী অক্ষয়ানন্দর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন প্রদীপ রায়, তিনি ৭ থেকে ৮ বছর আগে এই জলপাইগুড়ি রামকৃষ্ণ মিশনে ছিলেন। এমনটাই জানিয়েছেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ। স্বামী সুবীরানন্দজি বলেন, “এটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক যে এই অবস্থায় অক্ষয়ানন্দজিকে টেনে আনা হয়েছে এবং তাঁর সম্পর্কে জামিন অযোগ্য ধারায় এফআইআর করা হয়েছে। তিনি রয়েছেন উত্তর প্রদেশের প্রয়াগরাজে, আর, তাঁর বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।”