দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ পাকিস্থান আছে পাকিস্থানেই। তা না হলে সমস্ত ভদ্রতা ভুলে এমন ঘটনা কোনো সভ্য দেশে ঘটতে পারে না। হয়তো তাঁর পাতে মটন কম পড়েছে বস পড়ে নি। তাই বলে তা নিয়ে লঙ্কা কান্ড!! ঠিকঠাক মটন ছিল না বিরিয়ানীতে। তাতেই রেগে গিয়ে একজনের মাথায় আরেকজন মারে চটি। ব্যাস,তারপর যা হওয়ার। সেখান থেকেই ধুন্ধুমার বেঁধে গেল। বিয়েবাড়ির ভোজের আসর নাকি যুদ্ধক্ষেত্র বোঝাই ভার। পুরুষ-মহিলা নির্বিশেষে হাতাহতিতে জড়িয়ে পড়লেন নিমন্ত্রিতদের সকলেই। গোটা ঘটনার ভিডিও নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই সুপারহিট। একেবারে তীরের গতিতে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে সিসি টিভির সেই ফুটেজ। নাগরিক মহল ওদের আচরণকে নিন্দা জানিয়েছেন।
গত ২৪ আগস্ট এক্স প্ল্যাটফর্মে ভিডিওটি পোস্ট করা হয়। প্রায় ছ’মিনিট লম্বা ভিডিওটি মূলত বিয়েবাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ। সেখানে দেখা যাচ্ছে, টেবিলে বসে সকলে দিব্যি বিয়েবাড়ির ভোজ খাচ্ছেন। সাদা রঙের পর্দা দিয়ে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটাই ওদের রীতি। খাবার পরিবেশিত হয় গেছে। গরম গরম বিরিয়ানি।
এবারই ঘটলো অঘটন।হঠাৎ এক ব্যক্তি অন্য এক নিমন্ত্রিতের মাথায় চাঁটি মেরে বসলেন। সেখান থেকেই পালটা হাত চালালেন নিমন্ত্রিতও। হুলুস্থুল বেঁধে গেল গোটা বিয়েবাড়িতে। চেয়ার নিয়েও একে অপরকে মারতে তেড়ে গেলেন নিমন্ত্রিতরা। মহিলারা থামাতে চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। প্রবল মারামারি চলতে থাকে বিয়েবাড়ির মধ্যে। একেবারে যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে বিয়ের আসর। কে বলবে তারা এসেছেন অতিথি হিসাবে। মেজাজের উগ্রতা প্রমাণ করে মানুষের রুচি। ওই ভিডিওটি পোস্ট করা হয়েছে জনৈক X-প্লাটফর্ম থেকে। অবশ্য মন্তব্যকারীদের মধ্যে অনেক রসিকতায় আছে। একজন লিখেছেন ''মাংস না পেলে আমিও এরকমই করতাম।”
আবার আরেক জন বলেছেন, সবকিছুর পরেও এই উগ্রতা এক অনুষ্ঠান বাড়িতে কখনোই শোভন না। ৬ মিনিটের দীর্ঘ ওই ভিডিও পাকিস্থানের সংস্কৃতির পরিচয়।