
দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক:টাইফুন কালমেগি-র দাপটে ফিলিপিন্স মারাত্মকভাবে বিপর্যস্ত। যদিও ঝড়ের আগে থেকেই কয়েক লক্ষ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, তবুও এই দানবীয় তাণ্ডবে কমপক্ষে ৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
মঙ্গলবার ভোরের দিকে 'কালমেগি' আছড়ে পড়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টিপাত, যার ফলস্বরূপ সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক বন্যা পরিস্থিতি। সেদেশের অত্যন্ত জনবহুল এলাকা ও প্রাদেশিক রাজধানী সেবু সিটির আশেপাশে রেকর্ড করা হয়েছে ১৮৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত, যা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলেছে।
বিবিসি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত ৪৯ জনের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও অন্তত সাতাশ জনের দেহের খোঁজ মেলেনি। যে সব ভিডিও ও ছবি দেখা যাচ্ছে তাতে বিপর্যয়ের মাত্রাটা বোঝা যাচ্ছে। বহু বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। রাস্তা থেকে উড়ে দূরে গিয়ে পড়েছে গাড়ি! ঝড়ের সময় উদ্ধারকাজে নামা একটি সেনা কপ্টার আছড়ে পড়ে সেবুর দক্ষিণে। ভিতরে থাকা ৬ জনেরই মৃত্যু হয় বলে জানানো হয়েছে।কালমেগি নামের টাইফুনকে স্থানীয় ভাষায় ডাকা হচ্ছে টিনো নামে। জানা যাচ্ছে ল্যান্ডফলের পর ক্রমশ গতি বাড়ায় ঝড়টি। তবে এরপরও তা ছিল ঘণ্টায় ১৩০ কিমি প্রতি ঘণ্টারও বেশি। ঝড়ের তাণ্ডবে উত্তর মিন্দানাও দ্বীপে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে সেদেশেরর সেনা নিশ্চিত করেছে। তবে ঝড়ের চেয়েও বেশি ভয় দেখাচ্ছে বৃষ্টি। ওই প্রদেশের গভর্নর পামেলা বারিকুয়ার্তো সোশাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে জানিয়েছেন, ‘সেবুর পরিস্থিতি সত্যিই ভয়াবহ। আমাদের আশঙ্কা ছিল ঝড়ই সবচেয়ে ভয়াবহ ভূমিকা নেবে… কিন্তু জলের কারণেই মানুষের জীবন এখন সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে। বন্যার জল সত্যিই ধ্বংসাত্মক আকার ধারণ করেছে।’
