International

9 months ago

Manisha Ropeta: প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ইতিহাস বদল মণীষার! কে এই মনীষা, জানেন?

Manisha Ropeta (Collected)
Manisha Ropeta (Collected)

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রতিবেশী দেশের রক্ষনশীলতার আবরন ভেদ করে এক হিন্দু মহিলা পাকিস্তান পুলিশের শীর্ষ পদ দখল করলেন। আর তাতেই জায়গা করে নিলেন আর্ন্তজাতিক খবররের শিরোনামে।

সিন্ধু প্রদেশে এর আগে হিন্দু মহিলা পুলিশ অফিসার পদ পেয়েছেন ঠিকই তবে পুলিশের উঁচু পদে সেভাবে কোনও হিন্দু মহিলা অফিসারকে দেখা যায়নি। সেই অসাধ্য সাধন করে ফেলেন মনীষা রোপেতা। পাক পুলিশের ডেপুটি সুপারের পদে নিয়োগ হয়েছে তাঁর। মনীষা শুধু পাকিস্তানের পিতৃতান্ত্রিক প্রথার মূলে কুঠারাঘাত করেননি, বরং ডেপুটি সুপারের পদে মাত্র ২৬ বছরে বয়সে বসেই ইতিহাস তৈরি করেছেন।

মণীষা আদতে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা। এই সিন্ধু প্রদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর নির্যাতনের ঘটনা নতুন কোনও ব্যাপার নয়। আকছাড় সেখানে অভিযোগ ওঠে জোর করে হিন্দু, শিখ, খ্রিস্টান কিশোরীদের তুলে নিয়ে ধর্মান্তরিত করে মুসলিমদের পুরুষদের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা। সেই সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দাই হিন্দু পরিবারের মেয়ে মনীষা পাক পুলিশে উচ্চ পদ পেয়ে নজির গড়েছেন তা আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না।

মনীষা বড় হয়েছেন সিন্ধু প্রদেশের জেকবাবাদের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে। তাঁর অন্যান্য ভাইবোনেরাও উচ্চ শিক্ষিত। তাঁরা সকলে ডাক্তারি পড়েছেন। এমবিবিএস পরীক্ষায় বসেছিলেন মনীষাও। তবে এক নম্বরের জন্য ছিটকে যান তিনি। তবে তাতে অবশ্য মনমরা হয়ে পড়েননি মোটেই। সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষায় বসে উত্তীর্ণ হন। ১৫২ জানের মধ্যে মেধাতালিকায় ১৬ নম্বরে ছিল তাঁর নাম। তারপরেই পাক পুলিশের উর্দি উঠল তাঁর গায়ে।

মনীষার কথায়, তাঁর লড়াই জারি থাকবে রক্ষণশীলতা ও পুরষতান্ত্রিক সমাজের কঠোর নীতির বিরুদ্ধে। পাকিস্তানে প্রশাসনিক পদে প্রবল লিঙ্গবৈষম্য রয়েছে। মহিলাদের উপর নির্যাতনের মাত্রাও বেশি। সেখানে মনীষা মহিলা রক্ষক। মনীষা জানিয়েছেন, লিঙ্গবৈষম্য মিটিয়ে মহিলাদের অধিকার দেওয়ার তিনি চেষ্টা করবেন। তবে তাঁর লড়াই যে খুব একটা সহজ হবে তা কিন্তু নয়। একজন মহিলা হয়ে তাও আবার সংখ্য়ালঘু সম্প্রদায়ের প্রশাসনিক শীর্ষ পদে বিশেষত পুলিশ বিভাগে টিঁকে থাকাটাই মস্ত বড় চ্যালেঞ্জের। 

নজিরবিহীন সাফল্যে মনীষা বলেন, 'আমি ও আমার বোনেরা পুরনো পিতৃতান্ত্রিক সমাজে বড় হয়েছি। আমাদের বরাবরই বলা হত পড়াশোনা করে যদি চাকরিবাকরি করতে হয় তবে শিক্ষক অথবা চিকিৎসকই হতে হবে। এই বিশ্বাসটাকেই ভাঙতে চেয়েছি মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্য হয়ে।' 

You might also like!