দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী জন্ম ও মৃত্যু আর বিয়ে - এই তিনটি কখন হবে তা কেউই বলতে পারে না। কিন্তু হিন্দু দর্শন অনুযায়ী মৃত্যু প্রত্যেক মানুষকেই আগাম জানান দিয়ে আসে। হঠাৎ করে আসে না। কিছু কিছু লক্ষণ রয়েছে যা মৃত্যু পদযাত্রী আগে থেকেই টের পেতে পারে। জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী প্রত্যেকটি মানুষই তিন দিন আগে থেকে খুব ভালভাবে তা টের পান। অনেকে আবার মনে করেন কয়েকটি চিহ্ন রয়েছে যেগুলি প্রকাশ্যে আসার কয়েক দিনের মধ্যেই মানুষের মৃত্যু হয়।
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী ধ্বংসের দেবতা অর্থাৎ বিশানের দেবতা হলেন ভগবান শিব। তাই শিবপুরাণে মৃত্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। শৈবরা একটা সময় মৃত্যু নিয়ে অনেক চর্চা করেছিলেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী মৃত্যু আগাম বার্তা দিয়ে তবেই আসে।
মৃত্যুর চিহ্ন :
হাতের রেখা
সমুদ্রবিজ্ঞান অনুযায়ী মৃত্যুর আগে থেকেই হাতের রেখা হালকা হতে শুরু করে। অনেক সময় তা অস্পষ্ট হয়ে যায়। এমন হয়ে যায় হাতের রেখা বোঝাও কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
ইন্দ্রিয়
শিব পুরাণ অনুযায়ী মানুষের পাঁচটি ইন্দ্রিয় যদি একই সঙ্গে কাজ বন্ধ করে দেয় তাহলে হল মৃত্যুর বার্তা।
চাঁদ ও নক্ষত্র
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী যে ব্যক্তি অরুন্ধতী তারা ও চাঁদ সঠিকভাবে দেখতে পান না সেই ব্যক্তিকে বুঝে নিতে হবে ধীরে ধীরে তাঁর সময় শেষ হয়ে আসছে।
ছায়া
মৃত্যুর গুরুত্বপূর্ণ চিহ্ন হল কোনও ব্যক্তি প্রখর রোদে বার হলেও মাথা ছাড়া তার শরীরের অন্য় কোনও ছায়া দেখতে পাবে না।
শিবপুরাণ অনুযায়ী যদি কোনও ব্যক্তি দিনে উল্কাপাত ও রাতে রামধনু দেখে তাহলে তার আয়ু ৬ মাস পর্যন্ত কমে যায়।
স্বপ্ন
ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী যদি কোনও ব্যক্তি তার চারপাশে অশরীরিদের ভিড় অনুভব করেন, মৃত পূর্ব পুরুষের স্বপ্ন বারবার দেখেন তাহলে বুঝতে হবে তাঁর মৃত্যু আসন্ন। অশুভ স্বপ্ন দেখাও মৃত্যুর কারণ হতে পারে।
কাছের মানুষ অদৃস্য
গড়ুর পুরাণ অনুযায়ী যদি কোনও ব্যক্তির মৃত্যু আসন্ন হয় তাহলে সে কাছের মানুষকেও দেখতে পায় না। উল্টে অচেনা মানুষের ছবি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অনেকেই আবার যমদূতদের দেখতে পায়।
মৃত্যুর বাকি এক মাস
কিছু গ্রন্থ অনুযায়ী কোনও মানুষের জীবন শেষ হতে যদি আর মাত্র একমাস বাকি থাকে তাহলে সে নিজের ছায়াকে আলাদা অনুভব করে। কেউ আবার ছায়ায় নিজের মাথা দেখতে পায় না।
মৃত্যুর গন্ধ
আয়ুর্বেদ অনুসারে মৃত্যুপদযাত্রী ব্যক্তির শরীর থেকে অদ্ভুত গন্ধ বার হয়। সেটিকে শাস্ত্রে মৃত্যুর গন্ধ বলা হয় ।
বিশেষ দ্রব্যষ্ট হল এগুলি সবই প্রচলিত বিশ্বাস। এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি বা যুক্তি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। প্রচীনকাল থেকেই এই ধারনা চলে আসছে মৃত্যু নিয়ে।