Health

2 hours ago

Health Tips: চোখের দৃষ্টিশক্তি থাকবে তীক্ষ্ণ, ছানির ঝুঁকিও কমবে—নিম্নলিখিত উপাদান গুলি রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়!

Healthy Eyes
Healthy Eyes

 

দূরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: আজকের দিনে চোখের সমস্যা আর শুধু বয়স্কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ ও ট্যাবলেট—এই তিনের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটাচ্ছে শিশু থেকে প্রাপ্তবয়স্ক সকলেই। অফিসের কাজ হোক বা অবসরে বিনোদন—সব ক্ষেত্রেই চোখের ওপর পড়ছে চাপ। আর এরই ফলশ্রুতিতে দ্রুত বাড়ছে  চোখের নানাবিধ সমস্যা। বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম চোখের শুষ্কতা, চোখে জ্বালা, মাথাব্যথা ও দৃষ্টিশক্তির দুর্বলতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। ছোট ছোট শিশুরাও এর ব্যতিক্রম নয়। তাদের দৃষ্টিশক্তি গড়ে ওঠার আগেই চোখে চাপ পড়ছে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে। 

চোখ ভালো রাখতে শুধু স্ক্রিন টাইম কমানোই যথেষ্ট নয়। প্রয়োজন চোখের জন্য উপযোগী পুষ্টিকর খাবার। কিছু নির্দিষ্ট খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে চোখের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, দৃষ্টিশক্তি উন্নত হয় এবং বয়সজনিত চোখের সমস্যাও অনেকাংশে ঠেকানো যায়।

∆ চোখ ভালো রাখতে প্রতিদিনের খাবারে রাখুন নিম্নলিখিত উপাদান গুলি: 

১। সুর্যমুখীর তেল, বাদাম, হেজেলনাট, পাইন বাদাম প্রভৃতিতে রয়েছে ভিটামিন ই। ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারে রয়েছে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি চোখের কোষকে ক্ষতিকারক ফ্রি র‍্যাডিকেল থেকে রক্ষা করে। এছাড়া ছানি ও ম্যাকুলার অবক্ষয়, এমনকী চোখের শুষ্কতা কমাতেও এটি সাহায্য করে।

২। মটরশুঁটি, ডাল ও অন্যান্য লেবু জাতীয় খাবার জিঙ্কের ভালো উৎস। এছাড়া সামুদ্রিক মাছ, ডিম, মাংস প্রভৃতিতেও জিঙ্ক পাওয়া যায়। জিঙ্ক হল এমন একটি অপরিহার্য খনিজ, যা রেটিনা এবং চোখের অন্যান্য অংশের স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখে। তাই, খাবার পাতে এই জিঙ্ক সমৃদ্ধ খাবার রাখুন।

৩। মিষ্টি আলু, কুমড়ো, গাজর প্রভৃতিতে বিটা ক্যারোটিন থাকে। এগুলি শরীরে ভিটামিন এ-তে রূপান্তরিত হয়। এটি চোখের বাইরের স্তরকে রক্ষা করে। কম আলোতে দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে। রোডোপসিন নামক প্রোটিন তৈরিতে অপরিহার্য উপাদান ভিটামিন এ। কম আলোতে দেখার জন্য এই প্রোটিন প্রয়োজন পড়ে।

৪। চিয়া বীজ, আখরোট, তিসির বীজ প্রভৃতিতে পর্যপ্ত পরিমানে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যসিড থাকে। এটি চোখের টিয়ার ফিল্মের প্রয়োজনীয় তেল তৈরিকারী গ্রন্থিগুলিকে সুস্থ রাখে। ফলে চোখের শুষ্কতা বা চোখ ঝাপসা হওয়ার মতো সমস্যা কমে।

৫। ভিটামিন সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিভিন্ন সাইট্রাস ফল, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, টমেটো, ব্রোকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি কোলাজেন সংশ্লেষণে সাহায্য করে। কর্নিয়া ও স্ক্লেরার মতো চোখের অংশগুলোকে সুস্থ রাখে। ছানি ও বয়সজনিত ম্যাকুলার ক্ষয় রোধেও সাহায্য করে।

৬। পালং শাক, ভুট্টা, ডিমের কুসুম প্রভৃতিতে রয়েছে লুটেইন এবং জিয়াজ্যানথিন। এগুলি রেটিনাকে ক্ষতিকারক নীল আলো এবং অতিবেগুনী রশ্মি থেকে রক্ষা করে। চোখের সামগ্রিক স্বাস্থ্য বজায় রাখে। বয়সজনিত চোখের রোগ, যেমন ম্যাকুলার ডিজেনারেশনের ঝুঁকি কমায়।

স্ক্রিন ছাড়া জীবন কল্পনা করা কঠিন হলেও, চোখের যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। চোখের জন্য উপকারী খাবার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে, বয়সজনিত ছানি হোক বা স্ক্রিনের প্রভাব—কোনো কিছুই সহজে ক্ষতি করতে পারবে না। তাই চোখ ভালো রাখতে আজ থেকেই বদলে ফেলুন খাবারের তালিকা।

You might also like!