দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ ব্যস্ততা , অনিয়ম, টেনশন এই সবের প্রভাবে ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা, অ্যালার্জি, লিভার-কিডনির সমস্যা আরও যে কত কিছু রোগ বাসা বাঁধে শরীরে তা গুনে শেষ করা যাবে না।তবে রোগমুক্ত জীবন চাইলে রোজ এই জুস একগ্লাস করে খেতে পারেন। এতে শরীর থাকবে সুস্থ পাশাপাশি ভিতর থেকে শরীর ডিটক্সিফাই হয়ে যাবে। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন এই জুস।
একটা বীট খোসা ছাড়িয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। খোসা ছাড়িয়ে গাজরও ছোট টুকরো করে নিতে হবে। মিক্সিতে এই টুকরো করা গাজর, বিট, আপেল কুচি মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। সঙ্গে একটু আদা কুচিও দেবেনমিহি করে পেস্ট করে ওর মধ্যে এক বড় গ্লাস জল মিশিয়ে আবারও ব্লেন্ড করে নিন। এবার তা পরিষ্কার সাদা সুতির কাপড়ে ছেঁকে নিতে হবে। এতে রংও খুব সুন্দর আসবে । এই জুসে কোনও রকম চিনি মেশাবেন নাপরিবেশন করার আগে এর উপর পাতিলেবুর রস একটু ছজ়িয়ে দিন। তবে এইজুস বানিয়ে বেশিক্ষণ ফেলে রাখবেন না। চেষ্টা করবেন তা সঙ্গে সঙ্গে খেতে। সপ্তাহে দু দিন বানিয়ে খেলেই হবে। হার্ট, কিডনি, লিভারের যে কোনও সমস্যায় খুব ভাল কাজ করে বিটের এই জুস। বিটের জুসে থাকে নাইট্রেট যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই নাইট্রেট শরীরে প্রবেশ করে নাইট্রিক অক্সাইডে পরিণত হয়ে যায়। এই উপাদান রক্তনালীকে প্রসারিত করে, এমনকী বিশ্রাম করার সুযোগ দেয়। তাই কমে হাই ব্লাড প্রেশার। এই শীতে টাটকা বীটে অবশ্যই বানিয়ে খান এই জুস, এই জুস ১০ বছরের নীচে বাচ্চাদের দেবেন না। সুগারের রোগীরাও কিন্তু খাবেন না। এতে বাড়তে পারে রক্তশর্করা ।