দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে মাম্পস সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। কিছুদিন আগে মার্চ মাসে কেরালাতেও ঠিক একইভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল এই রোগটি। রোগটি নতুন নয় ঠিক, কিন্তু নতুন করে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ায় রীতিমতো চিন্তিত চিকিৎসকরা।
মাম্পস কী?
মাম্পস হল এমন একটি ভাইরাল রোগ যা শরীরের যে কোনও অংশকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে সাধারণত এটি প্যারোটিড গ্রন্থি নামক লালা গ্রন্থিতে সংক্রমিত হয়। মুখের চারিপাশে এই গ্রন্থিগুলি থাকার কারণে মাম্পস হাওয়ার পর চিবুকের নিচে এবং গলায় ব্যথা এবং ফোলা ভাব লক্ষ্য করা যায়।
লক্ষণ :
খুব সাধারণ কয়েকটি উপসর্গ হলেই বুঝতে পারবেন মাম্পস হয়েছে। মুখের এক পাশ অথবা উভয় দিক অস্বাভাবিকভাবে ফুলে যাওয়া। মুখ, চোয়াল এবং কানের কাছে ফোলা ভাব লক্ষ্য করা, কানে বা শরীরে ব্যথা, মাথাব্যথা, জ্বর, দুর্বলতা, ক্ষুধা মন্দ। মোটামুটি এই উপসর্গগুলি হলেই বুঝতে পারবেন মাম্পস ভাইরাল এই সংক্রমিত হয়েছেন আপনি।
কতদিনে সংক্রমিত হয় এই রোগ?
প্রধানত সংক্রমিত ব্যক্তির লালার মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে যায়। মোটামুটি সংক্রমিত হওয়ার ২ সপ্তাহ পর থেকে বোঝা যায় উপসর্গ। প্রায় মাসখানেক পর্যন্ত এই রোগে জর্জরিত হয়ে থাকে একজন মানুষ। বেশ কয়েকদিন উচ্চ জ্বর এবং গ্রন্থি ফুলে যাওয়ায় সমস্যায় পড়তে হয় রোগীকে।
কীভাবে রক্ষা পাবেন এই রোগ থেকে?
টিকা নিন: শিশুদের মাম্পস, রুবেলা থেকে রক্ষা করার জন্য MMR ভ্যাকসিন দেন চিকিৎসকরা। এই টিকার দুটি ডোজ অবশ্যই শিশুদের দিয়ে দেওয়া উচিত।
ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন: বাড়িতে কোনও ব্যক্তির যদি মাম্পসের কোনও উপসর্গ দেখা যায় তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে সকলের থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে হবে। স্কুলে যাওয়া অথবা বাইরে বেরোনো বন্ধ করে দিতে হবে। বাইরের কোনও ব্যক্তির সাথে দেখা করানো যাবে না।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন: খুব সামান্য কিছু স্বাস্থ্য বিধি যেমন নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত এবং মুখ ধোয়া মেনে চলতে হবে এই সময়। শুধু রোগী নয়, বাড়ির প্রত্যেককে এই নিয়ম মেনে চলতে হবে।
মুখ ঢেকে রাখতে হবে: শুধু করোনা নয়, মাম্পস অথবা যে কোনও সংক্রমন জনিত রোগ হলে মুখ ঢেকে রাখা উচিত বিশেষ করে হাঁচি এবং কাশি হলে মুখ ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না যেতে পারে।