দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ চিকেনের স্বাদে মশগুল বাঙালির সংখ্যা নেহাত কম নয়। তাই তাঁরা নিয়ম করে রাতেও চিকেন খান। আর তাতেই নাকি শরীরের একাধিক উপকার হচ্ছে বলে দাবি করেন তাঁরা। তবে সত্যিই কি রাতে চিকেন খেলে শরীরের উপকার হবে? নাকি এই কাজটা করলে সমস্যাই হবে? সেই বিষয়েই নিজের মতামত জানালেন কলকাতা শহরের বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ।
পুষ্টির ভাণ্ডার চিকেন
আমাদের অতি প্রিয় চিকেনে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিনের সন্ধান মেলে। আর এই প্রোটিন শরীর খুব সহজেই গ্রহণ করে নেয়। তাই দেহে এই ম্যাক্রনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি মেটাতে চাইলে নিয়মিত চিকেন খেতেই হবে। শুধু তাই নয়, এই খাবারে রয়েছে ভিটামিন বি ১২, ট্রিপটোফ্যান, কোলিন, জিঙ্ক, আয়রন, কপার থেকে শুরু করে একাধিক উপকারী খনিজ এবং ভিটামিন। তাই দেহে পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে চাইলে আপনাকে নিয়মিত চিকেন খেতেই হবে। তাতেই উপকার পাবেন হাতেনাতে।
রাতে চিকেন খাওয়া কি উচিত?
অনেকের মনেই ধারণা রয়েছে যে রাতে বোধহয় চিকেন খাওয়া উচিত নয়। তবে এই ধারণার কোনও সারবত্তা নেই। বরং প্রতিদিন রাতে নিয়ম করে মুরগির মাংস খাওয়াই যায়। এই কাজটা করলে দেহে পুষ্টির ঘাটতি মিটিয়ে ফেলা সম্ভব হবে। তাই কোনও সোশ্যাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞের কথায় কান না দিয়ে রোজ রাতে চিকেন খাওয়ার পরামর্শ দিলেন মীনাক্ষী মজুমদার।
হালকা খেলেই সুস্থ থাকবেন
প্রতিদিন রাতে চিকেন খেতে চাইলে তেল, মশলা সহযোগে লোভনীয় পদ খেলে কিন্তু চলবে না। বরং এই ভুলটা করলে আদতে একাধিক জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাই বাড়বে। এমনকী পিছু নিতে পারে গ্যাস, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা। তাই একান্তই রাতে চিকেন খেতে হলে অল্প তেল, মশলা সহযোগে রাঁধার চেষ্টা করুন। পারলে রাতে চিকেন স্টু বা চিকেন স্যালাড খান। এই কাজটা করলেই আপনার সুস্থ থাকার পথ প্রশস্থ হবে।
রাত ১০টার মধ্যে খাবারের পাঠ চুকিয়ে দিন
আমাদের মধ্যে অনেকেই অনেক রাত করে খাবার খান। আর এই ভুলটা করেন বলেই তাঁদের খাবার হজম হতে চায় না। তাই রাত ১০টার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলার চেষ্টা করুন। কারণ বেশি রাত করে চিকেন বা অন্য কোনও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খেলে গ্যাসট্রাইটিস, রিফ্লাক্স ডিজিজের মতো জটিল অসুখের ফাঁদে পড়ার আশঙ্কাই বাড়বে বৈকি! তাই আজ থেকেই বেশি রাত করে খাওয়ার অভ্যাসটা শুধরে নিন।
আপনারা সাবধান!
ক্রনিক কিডনি ডিজিজ থাকলে প্রোটিন মেপে খেতে হবে। তাই আপনারা চিকিৎসকের বলে দেওয়া পরিমাণ মতোই চিকেন, মাছ, মাংস, ডিম, সোয়াবিন খাবেন। নইলে যে বিপদের শেষ থাকবে না।
ঠিক একইভাবে ইউরিক অ্যাসিডের রোগীরাও যতটা সম্ভব প্রোটিন যুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। নইলে গাউটের ব্যথা আরও বাড়বে বই কমবে না।