দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ বাচ্চা বয়স থেকেই শিশুর দেহের হাড় শক্ত ও হাড় বৃদ্ধির দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। প্রতিকূল পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করার জন্য দেহের হাড় শক্ত থাকতে হবে। সঙ্গে হাড়ের গ্রোথের দিকেও সমান নজর দিতে হবে। হাড়ের সুস্থতা নির্ভর করে মূলত কয়েকটি বিষয়ের উপর। যদি শিশুর বাবা ও মায়েরা সেদিকে লক্ষ রাখেন,তাহলে একটি পূর্ণাঙ্গ ও সুস্থ মানুষ গঠিত হবে।
মনে রাখতে হবে ১৮/১৯ বছরের পরে কিন্তু হাড়ের গ্রোথ কমে যায়। তাই শিশুর ১৮ বছর হওয়ার আগেই সঠিক যত্নের প্রয়োজন, তবে ও শিশুর হাড়ে সঠিক গঠন সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে হাড়ের সুস্থতা নির্ভর করে কয়েকটি বিশেষ বিষয়ের উপর,সেগুলি হল-
১) ভিটামিন -ডি
২) ক্যালসিয়াম
৩) ভিটামিন কে ও ম্যাগনেসিয়াম
৪) শরীরচর্চা
সেই কারনেই শিশুকাল থেকেই -
১) শিশুকে খেলাধুলার সুযোগ করে দিতে হবে। বিশেষ করে দৌড়ঝাঁপ করতে দিতে হবে। তবে সাইক্লিং ও সাঁতার আদর্শ শরীর চর্চা।
২) ভিটামিন ডি এর অন্যতম উৎস সূর্যের আলো। তাই শিশুকে শীতকালে প্রতিদিন অন্তত ১০/১২ মিনিট সূর্যের আলোতে থাকার সুযোগ করব দিতে হবে। এছাড়া যে সমস্ত খাদ্য ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ তা খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে। যেমন- দুধ, ডিম, মাশরুম ইত্যাদি।
৩) শরীর যাতে পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম পায় সেই দিকে নজর দিয়ে খাদ্য তালিকায় দুগ্ধজাত দ্রব্যের সঙ্গে প্রচুর শাকসবজি যেমন ফুলকপি,পালং শাক, বাঁধাকপি,পটল, কমলালেবু ইত্যাদি রাখতে হবে।
৪) ভিটামিন কে ও ক্যালসিয়াম হাড়ের ক্ষয় রোধ করে। তাই খাদ্যে রাখুন অন্যান্য সমস্ত সবুজ সবজি ও হলুদ ফল।
নিয়মিত এই বিধি মেনে চললে বড়ো হয়ে আজকের শিশু একজন পূর্ণাঙ্গ সুস্বাস্থ্যের মানুষ হয়ে উঠবে।