দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্ক: হিউম্যান মেটাপনিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) এমন একটি ভাইরাস যা সাধারণত সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ সৃষ্টি করে।
এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে আপনার কাশি বা শ্বাসকষ্ট হতে পারে, নাক দিয়ে জল পড়তে পারে বা গলা ব্যথা হতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছোট শিশু, 65 বছরের ঊর্ধ্বে ব্যক্তিবর্গ এবং দুর্বল ইমিউন সিস্টেমের ব্যক্তিদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
এটি প্রায়শই উপরের শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণ হয়, তবে এটি কখনও কখনও নিউমোনিয়া, হাঁপানি বা দীর্ঘস্থায়ী অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD)এর মতো নিম্ন শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণ হতে পারে। শীতকালে এবং বসন্তের শুরুতে HMPV সংক্রমণ বেশি দেখা যায়।
এই রোগের লক্ষণ- ১) কফ;
২) জ্বর;
৩) সর্দি বা নাক বন্ধ;
৪)গলা ব্যাথা;
৫) সংক্রমণ বেশি হলে শ্বাসকষ্ট;
৬) হালকা খুসখুসে কাশি;
৭)ফুসকুড়ি বা র্যাসের সমস্যা।
এটি ছড়ায় কীভাবে? - ১) এটি একেবারে কোভিডের মতই;
২) সংক্রমিত ব্যাক্তির সংস্পর্শে এলে অথবা ভাইরাস মাখা বস্তু (যেমন,দরজা,ফোন ইত্যাদি) স্পর্শ করলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
HMPV মোকাবিলায় শিশু-বয়স্কদের ভেষজ দাওয়াই -
১) গরম জলে পুদিনা পাতা দিয়ে ভেপার নিন;
২) গ্রিন টি-র বাষ্প কিছুক্ষণ মুখে ধারণ করে পান করুন;
৩) জলে নিম পাতা সহকারে দিনে ২-৩ বার গার্গল করুন;
৪) তুলসী, দারচিনি, শুকনো আদা ও গোলমরিচ দিয়ে তৈরি আয়ুষ কাফ অত্যন্ত উপকারি;
৫) খাদ্যতালিকায় আমলকী, পাতিলেবু, সজনেপাতার ডাঁটা ও ফুল রাখুন;
৬) জ্বর হলে ৫-১০ মিলিলিটার শিউলিপাতার রস ১ চামচ মধুর সঙ্গে ২-৩ বার খান;
৭) কাশি হলে মুখে একটুকরো লবঙ্গ রাখুন;
৮) বৃদ্ধরা প্রতিদিন চ্যবনপ্রাশ এবং গরম চা পান করুন;
৯) শিশুদের তুলসীপাতার রস ১-৫ মিলিলিটার পর্যন্ত মধুর সঙ্গে খাওয়ান;
১০) অবশ্যই বেশি করে জল খান।
অযথা আতঙ্কিত হবেন না,মেনে চলুন উপরিউক্ত ভেষজ দাওয়াই, সুস্থ থাকুন সাবধানে থাকুন।