দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ শহর জুড়ে নতুন এক ভাইরাস অ্যাডিনো-র প্রকোপে বেশ বেশামাল বঙ্গবাসী।জ্বর, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে চলতি মরসুমে রবিবার পর্যন্ত রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১ জন শিশুর।পশ্চিম বঙ্গের প্রতিটি জেলাতেই প্রায় এক চিত্র, সর্বত্রই শিশুদের ভিড়। ফাঁকা থাতছে না ভেন্টিলেটরগুলিও।
চিকিৎসকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে যে শিশুদের বয়স দু’বছরের কম, তাদের ক্ষেত্রে ভয়ের পরিমাণ বেশি।বড়দের কারও জ্বর-সর্দি-কাশি, গলাব্যথা হলে অবশ্যই বাচ্চাদের থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ, বড়দের থেকেই এই সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে ছড়ায়। সাধারণ সর্দি-কাশি শ্বাসকষ্টে বদলে যেতে দু’দিনও সময় লাগছে না।এর প্রভাবে শিশুদের ফুসফুস ও শ্বাসনালি মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রতিরোধ ক্ষমতার বাড়ানোর দিকে ছোট থেকে বড় সকলেই নজর দিতে হবে, সে কারনে নিজের খাদ্য তালিকায় যোগ করুন এই বিশেষ খাবার গুলি-
প্রোটিন:উদ্ভিজ্জ বা প্রাণীজ, যে কোনও রকমের প্রোটিন রাখুন রোজ। মাছ, মাংস, সয়াবিন, মুসুর ডাল, ডিম এ সব থেকে পাওয়া পুষ্টিগুণ শরীরকে ভিতর থেকে মজবুত করবে।
লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদ: ভাইরাসের হাত থেকে রক্ষা পেতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বেশ কিছু মশলা ব্যবহারের কথা উল্লেখ আছে, তার মধ্যে লবঙ্গ-দারচিনি-কাঁচা হলুদও রয়েছে। রান্নায় যোগ করুন লবঙ্গ ও দারচিনি। এই সব মশলাপাতিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ভাইরাসের বিরুদ্ধে শরীরের স্বাভাবিক প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে।
রসুন: সকালে খালি পেটে এক কোয়া রসুন। স্বাস্থ্যবিদদের মতে, এতেই নাকি অর্ধেক রোগবালাইয়ের শঙ্কা কমে যায়। প্রাকৃতিক ভাবে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে ভরপুর এই সবজি ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, হাঁপানি, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে ভাল কাজ করে।
টক দই: টক দইয়ের ফারমেন্টেড এনজাইম খাবার হজমের জন্য ভীষণ উপযোগী। টক দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান লিভারকে যেমন সুস্থ রাখে তেমনই এর জেরে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকে।পুষ্টিবিদদের মতে শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও দই ভাল কাজ করে।
তেতো: ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে প্রতি দিন খাবারের পাতে রাখুন তেতো। হয় নিম পাতা, নয় তো উচ্ছে। এ সবের অ্যান্টিভাইরাল উপাদান শরীর মজবুত রাখে ও এই সময়ে বাতাসে উড়ে বেড়ানো রোগ-জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করে।