দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ প্রায় দুশো বছরের এই দুর্গাপুজো। জাঁকজমক আগের চেয়ে কমলেও বর্তমানেও বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য একেবারে অমলিন।
বন্দ্যোপাধ্যায় বংশের রামমোহন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন হয় শ্রীরামপুরের এক নীলকর সাহেবের। মৃত্যুশয্যায় নীলকর সাহেব তিনি তাঁর সম্পত্তির ৫০ শতাংশ রামমোহনবাবুকে দিয়ে দেন। তারপর থেকেই শুরু জমিদারির। তৈরি হয় বিশাল জমিদার বাড়ি, নাম দেবোত্তর এস্টেট। শুরু হয় দুর্গাপুজোও। তবে এখানে দেবী সিংহবাহিনী নন, ব্যাঘ্রবাহিনী। প্রতিমাতেও রয়েছে বিশেষ সাবেকিয়ানা।
এখানে দেবীর মুখ ছাঁচে নয়, বংশপরম্পরার প্রতিমা শিল্পী হাতে করে তৈরি করেন দেবীর মুখ। এই রকম মূর্তি খুবই বিরল। তৎকালীন সময়ে উপচে পড়া রাজকোষের প্রভাব পড়ে দুর্গাপুজোয়। পাইক, বরকন্দাজ এবং রাজকর্মচারী সঙ্গে প্রজাদের আনাগোনায় দুর্গাপুজো কার্যত উৎসবের চেহারা নিত।
জেল্লা কমেছে কিছুটা। কিন্তু নেই পুজোয় নিষ্ঠার ঘাটতি। বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে আজও প্রাচীন রীতি মেনে পুজো হয়। বের করে আনা হয় নবপত্রিকা আনার রুপোর পালকি ও পুজোর যাবতীয় রুপোর বাসন। আজও পুজোর দিনগুলিতে প্রাচীন জমিদারবাড়ির দেবোত্তর এস্টেটে ভিড় জমান দূর-দূরান্তে ছড়িয়ে পড়া এই পরিবারের সদস্যরা।