Festival and celebrations

10 months ago

Kali Puja 2023 : পঞ্চমুণ্ডির বেদিতে স্থাপিত এই দেবীর পুজোতে নিয়োজিত বামাক্ষ্যাপার বংশধর,ভোগে থাকে বোয়াল, জানুন এই পুজোর ইতিহাস

Bayamakhapa and his family Member
Bayamakhapa and his family Member

 

দুরন্ত বার্তা ডিজিটাল ডেস্কঃ উত্তর ২৪ পরগনার রায়গঞ্জের আদি কালী,দীর্ঘ প্রায় পাঁচশ বছর ধরে পুজো পেয়ে আসছেন, বংশ পরম্পরায় সাধক বামাক্ষ্যাপার বংশধররা এই পুজো করে আসছেন।

পঞ্চমুণ্ডির বেদিতে স্থাপিত এই দেবী। এলাকাবাসীর বিশ্বাস তাঁকে পুজো দিলে সব মনের ইচ্ছা পূর্ণ হয়। সেই কারণে এখানে মনস্কামনা নামে পূজিতা হন দেবী। কথিত আছে, আনুমানিক প্রায় পাঁচশো বছর আগে পঞ্জাবের এক সন্ন্যাসী দেবী কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন। কুলিক নদীর ধারে অধুনা এই বন্দর এলাকায় পৌঁছে নদীর তীরে একটি বড় বট গাছের নিচে পঞ্চমুণ্ডির আসন প্রতিষ্ঠা করেন তিনি। সেই সময় দেবীর কোনও বিগ্রহ বা মন্দির ছিল না।


শোনা যায়, এরপর ওই তান্ত্রিকের অবর্তমানে তাঁরই শিষ্য স্থানীয় ডাকাতরা ওই আসনে মাতৃ প্রতিমার পুজো করতেন। তাঁরা ডাকাতি করতে যাওয়ার সময় ও ফিরে আসার পর দুবার করে মায়ের পুজো দিয়ে যেতেন। তবে শুধু ডাকাত নয়, বাণিজ্য করতে যাওয়ার পথে ব্যবসায়ীরাও পুজো দিয়ে যেতেন। এতে নাকি ডাকাতি হওয়ার কোনও ভয় থাকত না।

আনুমানিক ১৮০৮ সাল নাগাদ অবিভক্ত বাংলার দিনাজপুরের মহারাজা তারকনাথ চৌধুরি মায়ের স্বপ্নাদেশ পেয়ে এখানে একটি মন্দির গড়ে তোলেন। সেইসঙ্গে সাধক বামাক্ষ্যাপার উত্তরসূরি জানকীনাথ চট্টোপাধ্যায়কে এই মন্দিরে পুজোর দায়িত্ব দেন তিনি। এরপর ১৮০৯ সালে জানকীনাথবাবু বেনারস থেকে কষ্টি পাথরের বিগ্রহ এনে মাতৃ মূর্তি প্রতিষ্ঠা করেন। যা এখনও এই মন্দিরে বিরাজমান। পরে এই বন্দর ঘাটের পাশেই গড়ে ওঠে বর্তমান রায়গঞ্জ শহর যা কি না আগে নদীবন্দর ‘রাইগঞ্জ’ নামে পরিচিত ছিল। পাঁচ পুরুষ ধরে বামদেবের উত্তরসূরিরাই এই মন্দিরের প্রধান পুরোহিত। এখানে তন্ত্রমতে পুজো করা হয়। এমনকী দেবীকে শোল ও বোয়াল মাছ দিয়ে ভোগ দেওয়ার রীতি রয়েছে এখানে। যা আজও প্রবহমান।


আগে দিনাজপুরের রাজ পরিবারের পক্ষ থেকেই পুজোর সমস্ত আয়োজন করা হলেও কালের নিয়মে এখন আর রাজাও নেই তাই পুজোর সমস্ত খরচ সাধারণ ভক্তরা মিলেই করেন। তবে আনন্দময়ী মায়ের অলোকিক বহু ঘটনার নাকি আজও প্রমাণ মেলে। তবে বহু প্রাচীন এই পুজো আজ সর্বজনীন কালীপুজোয় পরিনত হয়েছে। 

You might also like!